Prothomalo:
2025-09-18@04:58:52 GMT

খুচরায় কিছুটা কমেছে চালের দাম

Published: 7th, February 2025 GMT

এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। ধরনভেদে প্রতি কেজি চালে ১-৪ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। এর পাশাপাশি সামান্য দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। তবে মুরগির দামে কিছুটা বাড়তি প্রবণতা দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন পাইকারি বিক্রির স্থান বা মোকামগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে খুচরা পর্যায়েও কিছুটা দাম কমছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল মার্কেট—এই তিন বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত দেড় মাসের মধ্যে ধরনভেদে চালের দাম কেজিতে ৮-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। আমনের ভরা মৌসুমেও হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষ। এরপর সরকার চালের দাম কমাতে আমদানিসহ কিছু উদ্যোগ নেয়। এর প্রভাবে গত এক সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কমেছে।

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকায়।

মিলমালিক ও পাইকারেরা বলছেন, চালের আমদানি বাড়ানো এবং এসব চাল গ্রামপর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় দাম কমতির দিকে। এ ক্ষেত্রে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রভাবও পড়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ১-৪ টাকা পর্যন্ত বেশি ছিল। যেমন গতকাল মাঝারি মানের ব্রি-২৯ চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ চালের দাম ছিল ৬২-৬৫ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। আবার মোটা বলে পরিচিত স্বর্ণা চালের দাম ৩ টাকা কমে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদিও ঢাকার সব খুচরা বাজারে কম দামের চাল বিক্রি শুরু হয়নি।

আরও কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম

এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম আরও কিছুটা কমেছে। বাজারে এখন নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কম। খুচরা পর্যায়ে গতকাল এক কেজি পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এই দাম আরও ৫ টাকা বেশি ছিল। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দামও কেজিতে ২-৫ টাকা কমেছে। গতকাল এক কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকায়। আগের সপ্তাহে এই দাম ছিল ২০-২৫ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে আলু ও পেঁয়াজ আরও ৫ টাকা বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যান্য মসলা পণ্যের মধ্যে এখন প্রতি কেজি রসুনের দাম ২২০-২৪০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল রাজধানীতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫৮-৬৪ টাকা ও সরু চাল ৭২-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত তিন-চার দিনে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে এ দাম কেজিতে ১০ টাকা কম ছিল। অন্যদিকে গতকাল এক কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৮০-৩১০ টাকা। তবে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩৫ টাকায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ক জ দ ম কম গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ