গুগল মেসেজেসেও যুক্ত হচ্ছে জেমিনির ভাইরাল ন্যানো বানানা মডেল
Published: 20th, October 2025 GMT
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোন থেকে খুদে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য গুগল মেসেজেস অ্যাপ খুবই জনপ্রিয়। এবার বার্তা পাঠানো পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ছবি সম্পাদনাসহ নতুন ছবিও তৈরি করা যাবে অ্যাপটিতে। নতুন এ সুবিধা চালুর জন্য শিগগিরই গুগল মেসেজেসে জেমিনির ভাইরাল ন্যানো বানানা মডেল যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল। সুবিধাটি চালু হলে পরিচিতদের বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ছবি পাঠাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথোরিটি জানিয়েছে, সম্প্রতি গুগল মেসেজেস অ্যাপের ভি২০২৫১০০৯ সংস্করণের কোড বিশ্লেষণ করে নতুন ‘বানানা’ আইকন দেখা গেছে। জেমিনির ভাইরাল ন্যানো বানানা মডেলের লোগোর মতো দেখতে এই আইকন। আইকনটির কার্যকারিতা এখনো চালু না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির গুগল মেসেজেসে জেমিনির ভাইরাল ন্যানো বানানা মডেল যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল। তবে এ বিষয়ে গুগল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানায়নি।
গুগল ইতিমধ্যে ন্যানো বানানা মডেল গুগল সার্চের এআই মোড ও নোটবুক এলএমে যুক্ত করেছে। পাশাপাশি গুগল ফটোজ ও গুগল লেন্সেও এই মডেল যুক্তের কাজ চলছে। অন্যান্য এআই ইমেজ মডেলের মতোই ন্যানো বানানা ব্যবহারকারীর দেওয়া লেখা বা ছবির ভিত্তিতে নতুন ছবি তৈরি করতে বা পুরোনো ছবি সম্পাদনা করতে পারে। মূল ছবির অবয়ব, রং ও বৈশিষ্ট্যের মিল বজায় রেখে ছবি তৈরি করতে পারে এআই মডেলটি।
গত মাসে জেমিনি এআই অ্যাপে ন্যানো বানানা মডেল যুক্ত করে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ডিপমাইন্ড। বিভিন্ন তারকার সঙ্গে কৃত্রিমভাবে বাস্তবসম্মত সেলফি তোলার সুযোগ থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে নতুন এআই মডেলটি। আর তাই এবার নিজেদের বিভিন্ন প্রযুক্তিসেবায় ধীরে ধীরে ন্যানো ব্যানানা মডেল যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ গল ম স জ স
এছাড়াও পড়ুন:
নাসা কি ঐতিহাসিক গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার বন্ধ করে দিচ্ছে
হাবল ও জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মতো আইকনিক মিশন পরিচালনা করা হয়েছে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার থেকে। আর তাই নাসার ঐতিহাসিক এই গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার বন্ধের এক খবর নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কয়েক মাস ধরে সেখানকার কর্মী ও আইনপ্রণেতারা গডার্ডের মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টের প্রধান ক্যাম্পাসে উদ্বেগজনক পরিবর্তন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। ক্যাম্পাসে ভবন বন্ধ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে নাসা জানিয়েছে, গডার্ডের বিভিন্ন কাজ বন্ধের পদক্ষেপ বহু বছর আগে নেওয়া পরিকল্পনারই অংশ।
ওয়াশিংটন ডিসির ঠিক বাইরে অবস্থিত গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার মহাকাশ গবেষণার জন্য নাসার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। গডার্ড সেন্টার মহাবিশ্ব অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র তৈরির বৃহত্তম সংস্থা হিসেবেও পরিচিত। আধুনিক রকেটের পথিকৃৎ রবার্ট এইচ গডার্ডের নামানুসারে ১৯৫৯ সালে নাসার প্রথম মহাকাশ ফ্লাইট সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজও গডার্ড আইকনিক হাবল স্পেস টেলিস্কোপের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এখানে ২০২০ সালে উৎক্ষেপণের আগে তৈরি করা হয়েছিল। গডার্ডে বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা এখন আরও শক্তিশালী ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপের চূড়ান্ত কাজ শেষ করছেন। প্রায় সম্পূর্ণ হওয়া এই টেলিস্কোপ মহাবিশ্বের শুরু সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে বদলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। নাসা জানিয়েছে, ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ ২০২৭ সালের মে মাসের মধ্যে উৎক্ষেপণের সময়সূচিতে রয়েছে। এমনকি ২০২৬ সালের শরৎকালেও এটি উৎক্ষেপণ হতে পারে।
অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারে শাটডাউন শুরু হওয়ার পর নাসা গডার্ডে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগার ও অফিস ভেঙে ফেলার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ আসে, এমন সব পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২৬ সালের বাজেট কমানোর অংশ। যদিও সেই বাজেট কমানোর পরিকল্পনা এখনো কংগ্রেস অনুমোদন দেয়নি। শাটডাউনের সময় সেখানকার সাইটে থাকা অল্প কয়েকজন কর্মী বিশেষায়িত সরঞ্জাম ও অন্যান্য জিনিসপত্র অপসারণের তথ্য প্রকাশ করেন।
এক বিবৃতিতে গডার্ড ইঞ্জিনিয়ার্স, সায়েন্টিস্টস অ্যান্ড টেকনিশিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, কেন্দ্রের ১৩টি ভবনে প্রায় ১০০টি পরীক্ষাগার রয়েছে। কর্মীদের খুব কম সময়ের নোটিশ দিয়ে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে তা বন্ধের কাজ চলছে। একটি সংক্ষিপ্ত নোটে সংস্থাটি জানিয়েছে, এত কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ল্যাব সরানোর কাজ করলে নাসার কৌশলগত ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক ও উচ্চ মূল্যের সরঞ্জামের ক্ষতি হতে পারে। ভবিষ্যতে এসব প্রতিস্থাপন করা কঠিন হতে পারে।
সূত্র: ইউএসএ টুডে