সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

কর্তৃপক্ষের যথাযথ কাজের স্বার্থের কথা উল্লেখ করে নিজেদের ১১ জন রাজস্ব কর্মকর্তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অন্য জোনে বদলি করেছে ঢাকা ওয়াসা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, সম্প্রতি একটি অফিস আদেশ জারি করে এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে তাদের যোগদান করতে হবে অন্যথায় তারা তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন।

জানা গেছে, ১১ জন রাজস্ব পরিদর্শকের মধ্যে রাজস্ব জোন-৫ থেকে রাজস্ব জোন-৩ এ বদলি করা হয়েছে রাজস্ব পরিদর্শক তাজাম্মল হক মোল্লাকে। একইভাবে রাজস্ব জোন-৮ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-৯ এ দেওয়া হয়েছে খন্দকার মো.

জাকির আকরবকে, রাজস্ব জোন-২ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-১ এ দেওয়া হয়েছে আশকার ইবনে শায়েখকে, রাজস্ব জোন-১ বদলি করা হয়েছে আখতারুজ্জামান মোড়লকে।

রাজস্ব জোন-৭ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-৩ এ দেওয়া হয়েছে দেলোয়ার হোসেনকে, রাজস্ব জোন ৪ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-৭ এ দেওয়া হয়েছে আজিজুর রহমান মন্ডলকে, রাজস্ব জোন -৮ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-৫ এ দেওয়া হয়েছে শাহ আলমকে, রাজস্ব জোন-৫ এ বদলি করা হয়েছে আব্দুল সালাম খানকে।

এছাড়া রাজস্ব জোন-৬ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-৭ এ দেওয়া হয়েছে আব্দুল হাকিমকে এবং রাজস্ব জোন-১০ থেকে বদলি করে রাজস্ব জোন-১ এ দেওয়া হয়েছে রবিউল আলমকে।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ রেহানার বিরুদ্ধে করা প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় রাজউকের সদস্য খুরশীদ গ্রেপ্তার
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার