বিপন্ন ১১ মুখপোড়া হনুমান গাজীপুর সাফারি পার্কে
Published: 8th, February 2025 GMT
প্রকৃতিতে মহাবিপন্নের তালিকায় থাকা বিরল প্রজাতির ১১টি মুখপোড়া হনুমানের ঠাঁই হয়েছে গাজীপুর সাফারি পার্কে। পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার এসব হনুমান গতকাল শুক্রবার সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পার্কের সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পার্কের হাসপাতালের পেছনে হনুমানগুলোকে বিশেষ স্থানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বাচ্চা। সব হনুমানই সুস্থ আছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ-ঢাকা বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা জানান, রাজধানীর স্বামীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার এসব হনুমান উদ্ধার করা হয়। একটি সাদা প্রাইভেটকারে এগুলো পাচার করা হচ্ছিল। প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনীক সাহার ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন পাচারকারীকে তিন মাস কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। শুক্রবার হনুমানগুলোকে সাফারি পার্কে নেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হন ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।