দুয়ারে ভালোবাসা দিবস। এদিকে শীতের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তবে বাজারে এখনও শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। শীতের সবজি দিয়েই ভিটামিন-সি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। চার রকমের ফেসপ্যাক বানানোর উপায় জানিয়ে দিচ্ছি। 

কমলা এবং মধু: ১ টেবিলচামচ কমলা লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে ফেলুন।

পাকা পেঁপেঁ এবং পাতিলেবু: ফেসপ্যাক বানানোর জন্য পাকা পেপে যত বেশি পাকা হয় ততই ভাল। তেমন পেঁপের শাঁস কয়েক চামচ নিয়ে ভাল করে পেস্ট করে নিন। এ বার তাতে মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস। এ পর্যায়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মৃতকোষ দূর করার জন্যও এই ফেসপ্যাক উপযোগী।

টমেটো এবং অ্যালোভেরা:  একটি পাকা টমেটো মিক্সিতে ভাল করে বেটে নিয়ে তার সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১৫ মুখে মেখে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। 

কমলার খোসা এবং দই: কমলা লেবুর খোসা ২ দিন রোদে শুকিয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিন।  এবার ২ চামচ দই মেশান। মিশ্রণটি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে, ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকে ত্বককে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি মৃতকোষ দূর করে এবং ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে।

উল্লেখ্য, ভিটামিন সি ফেসপ্যাক ব্যবহারের পরে মুখ ধুয়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যাতে সূর্যের রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে না পারে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের

প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।

বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।

বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান। 

শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • রঙিন ঝলমলে আকাশ থেকে নিভে যাচ্ছে তারার আলো
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের