পাকিস্তানে খনির কাছে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১১ শ্রমিক
Published: 14th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের হারনাই এলাকায় একটি খনির কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন কয়লা খনি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ছয়জন। খবর রয়টার্সের
একটি ট্রাক শ্রমিকদের নিয়ে হারনাই এলাকার খনিতে যাচ্ছিল, তখন হামলাটি ঘটে। বেলুচিস্তানে অনেকদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছে।
পাকিস্তানের আধা-সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রাস্তার পাশে একটি ঘরে তৈরি বোমা পেতে রাখা হয়েছিল। কয়লা খনি শ্রমিকদের বহনকারী ট্রাকটি সেখানে পৌঁছতেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বোমাটির বিস্ফোরণ রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ঘটানো হতে পারে।’
তবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
অঞ্চলটির ডেপুটি কমিশনার হযরত ওয়ালি আগা জানান, ট্রাকটিতে ১৭ জন শ্রমিক ছিলেন।
ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী বেলুচিস্তান একটি খনি সমৃদ্ধ অঞ্চল। এখানে স্থানীয় স্বাধীনতাকামী বেলুচরা প্রায় এক দশক ধরে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। তাদের পাশাপাশি অঞ্চলটিতে জঙ্গিদের তৎপরতাও উল্লেখযোগ্য।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ মারামারির অভিযোগ ছিল ৪ হাজার ১০২টি
১৫ হাজার ৬১৯ জন। অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন জরুরি সহায়তা দেয় পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস। তবে এ সময় সবচেয়ে বেশি ছিল মারামারির অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে এই সংখ্যা ৪ হাজার ১০২টি।
রোববার পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ঈদুল আজহার ছুটির মধ্যে ৫ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৯৯৯-এ আসা কলের ভিত্তিতে জরুরি পুলিশি সহায়তা দেয় ১৩ হাজার ৮৩১ জনকে। একই সময়ে ৯৯৩ জনকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও ৭৯৫ জনকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা দেওয়া হয়।
এবারের কোরবানি ঈদে দেশজুড়ে যত্রতত্র পশুর হাট, রাস্তা ও নৌপথে পশু পরিবহন, পশু জবাই ও জনসমাগমের কারণে নানা বিশৃঙ্খলার শঙ্কা ছিল। তবে ৯৯৯-এ কলের ভিত্তিতে কার্যকর মনিটরিং ও তৎপরতায় এসব সংকট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
ঈদে যেসব অপরাধ বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পশুর হাট ও রাস্তায় চাঁদাবাজি, জোর করে পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়া, অজ্ঞান/মলম পার্টির তৎপরতা এবং অতিমাত্রার শব্দদূষণ। এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা পান ১ হাজার ২৭১ জন।
তাছাড়া কাউকে আটকে রাখা-সংক্রান্ত অভিযোগে সাড়া দেওয়া হয় ১ হাজার ২১৪ জনকে। পাশাপাশি জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পান ১ হাজার ৬২ জন ও বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে সহায়তা দেওয়া হয় ৯৯২ জনকে।
৯৯৯ সেবা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদে মানুষের চলাচল, পশু কেনাবেচা, বড় আকারের জনসমাগম—সবকিছু মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি চালানো হয়।