গাজায় ‘নরকের দরজাগুলো’ খুলে দেওয়ার হুমকি নেতানিয়াহুর
Published: 16th, February 2025 GMT
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরকের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হবে’ বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আজ রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুমকি দেন তিনি।
যৌথ বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন কৌশল রয়েছে। আর সাধারণ মানুষের কাছে আমরা সব সময় এই কৌশলের বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারি না, যেমন নরকের দরজাগুলো কখন খুলে দেওয়া হবে। যদি আমাদের সব জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে দরজাগুলো খুলে যাবে।’
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা হামাসের সামরিক সক্ষমতা এবং গাজায় তাদের শাসন শেষ করে দেব। আমাদের সব জিম্মিকে আমরা বাড়ি ফিরিয়ে আনব এবং এটা নিশ্চিত করব যে গাজা যেন কখনই ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়ে দাঁড়ায়।’ নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সোজাসাপটা সমর্থন এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমাদের সহায়তা করবে।’
মার্কো রুবিও বর্তমানে ইসরায়েল সফর করছেন। বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলাপ করেছেন তিনি। ওই পরিকল্পনা যেন বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, সংঘাত শেষে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে গাজার বাসিন্দাদের মিসর, জর্ডানসহ অন্যান্য দেশে বিতাড়িত করা হবে। তাঁর এই মন্তব্যের পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। রুবিও বলেন, ট্রাম্পের গাজার পরিকল্পনা হয়তো অনেককে হতবাক করেছে। তবে গাজা নিয়ে একই ধরনের পুরোনো পরিকল্পনা আর করা হবে না।
গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি চলছে। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত মোট ১৯ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের। ইসরায়েলের কারাগার থেকেও কয়েক শ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল দরজ গ ল আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে এখনো শাহবাগে অবরোধকারীরা
জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আজ শুক্রবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। গতকালের মতো আজকেও শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের (আহত) ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে অবরোধকারীরা অবস্থান করছেন