Samakal:
2025-11-03@11:29:46 GMT

বৈশ্বিক আসরে এআই ইকোসিস্টেম

Published: 19th, February 2025 GMT

বৈশ্বিক আসরে এআই ইকোসিস্টেম

আগামী ২ মার্চ স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত হায়াত রিজেন্সি বার্সেলোনা টাওয়ারে বিশেষ সব ব্র্যান্ডের উপস্থাপনা প্রদর্শিত হবে। বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনুষ্ঠিতব্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২৫ আসরে তাদের নতুন কৌশলগত উদ্যোগ ‘অনার আলফা প্ল্যান’ উন্মোচনের সঙ্গে এআই নিয়ে নিজেদের নতুন সব উদ্ভাবন দর্শনার্থীর সামনে উপস্থাপন করবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ‘আলফা’ শব্দটি বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করে। একদিকে এটি যেমন এগিয়ে থাকা চিন্তাধারা প্রকাশ ধরে, অন্যদিকে ঠিক তেমনি সর্বোচ্চ উৎকর্ষতার বিষয় তুলে ধরে; একই সঙ্গে এটি উদ্ভাবন ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সময়োপযোগী পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। ব্র্যান্ডের আলফা প্ল্যান নিজস্ব নতুন কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে সব ধরনের মূলনীতি ধারণ করে।

নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে অংশীজনের মাধ্যমে উদ্ভাবন সমৃদ্ধ হবে। নিজেদের কৌশলগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ও বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার সীমানাকে আরও বাড়িয়ে শক্তিশালী এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলাই এখন ব্র্যান্ডের লক্ষ্য।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত ভবিষ্যৎমুখী কনজ্যুমার টেক নিশ্চিতে ব্র্যান্ডটি কাজ করছে। বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এখন ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই ক শলগত

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ