Samakal:
2025-09-18@00:36:12 GMT

বৈশ্বিক আসরে এআই ইকোসিস্টেম

Published: 19th, February 2025 GMT

বৈশ্বিক আসরে এআই ইকোসিস্টেম

আগামী ২ মার্চ স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত হায়াত রিজেন্সি বার্সেলোনা টাওয়ারে বিশেষ সব ব্র্যান্ডের উপস্থাপনা প্রদর্শিত হবে। বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনুষ্ঠিতব্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২৫ আসরে তাদের নতুন কৌশলগত উদ্যোগ ‘অনার আলফা প্ল্যান’ উন্মোচনের সঙ্গে এআই নিয়ে নিজেদের নতুন সব উদ্ভাবন দর্শনার্থীর সামনে উপস্থাপন করবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ‘আলফা’ শব্দটি বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করে। একদিকে এটি যেমন এগিয়ে থাকা চিন্তাধারা প্রকাশ ধরে, অন্যদিকে ঠিক তেমনি সর্বোচ্চ উৎকর্ষতার বিষয় তুলে ধরে; একই সঙ্গে এটি উদ্ভাবন ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সময়োপযোগী পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। ব্র্যান্ডের আলফা প্ল্যান নিজস্ব নতুন কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে সব ধরনের মূলনীতি ধারণ করে।

নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে অংশীজনের মাধ্যমে উদ্ভাবন সমৃদ্ধ হবে। নিজেদের কৌশলগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ও বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার সীমানাকে আরও বাড়িয়ে শক্তিশালী এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলাই এখন ব্র্যান্ডের লক্ষ্য।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত ভবিষ্যৎমুখী কনজ্যুমার টেক নিশ্চিতে ব্র্যান্ডটি কাজ করছে। বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এখন ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই ক শলগত

এছাড়াও পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদির

কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৬তম সম্মিলিত সেনা সম্মেলন (সিসিসি) উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেনা সম্মেলন একটি দ্বিবার্ষিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শীর্ষস্তরীয় মতবিনিময়ের আসর।

অপারেশন সিঁদুরে’র পর এটিই প্রথম সম্মিলিত সেনা সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান, প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানও।

আরো পড়ুন:

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

আসামে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, ৫ বাংলাদেশি ছাত্রকে বহিষ্কার

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড সদর দপ্তর কলকাতার বিজয় দুর্গে তথা ফোর্ট উইলিয়ামে আগামী তিনদিন এই সম্মিলিত সেনা সম্মেলন চলবে। 

এই সম্মেলন সেনার তিন বাহিনীর সর্বোচ্চ চিন্তাভাবনামূলক ফোরাম, যা দেশের শীর্ষ অসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে ধারণাগত ও কৌশলগত স্তরে মতামত বিনিময়ের জন্য আয়োজন করা হয়েছে ৷ কলকাতার আগে সর্বশেষ সম্মিলিত সেনা সম্মলেন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৩ সালে ভোপালে। অপারেশন সিঁদুরের প্রেক্ষাপটে, এই বছরের সম্মেলন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এবারের সম্মেলনে সংস্কার, রূপান্তর, পরিবর্তন এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের  বিবৃতি অনুযায়ী, ‘সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু সশস্ত্র বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, সংহতিকরণ এবং প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণে বিশেষ জোর দেওয়া। একই সঙ্গে শীর্ষস্তরের একাধিক ক্ষেত্রে অপারেশনাল প্রস্তুতির উপরও জোর দেওয়া হবে। তিনদিনের এই সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে, যাতে ক্রমবর্ধমান জটিল ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়।’

রবিবার আসাম সফর সেরে নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশ কিছুটা পর দমদম বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা এবং উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কোনো কর্মসূচি না থাকলেও মোদিকে দেখতে ভিড় ছিল বিজেপি সমর্থকদের। ভিড় দেখে গাড়ি থামিয়ে হাত নেড়ে জনসংযোগ সারেন মোদি। সেখান থেকে তার ২৪ গাড়ির কনভয় পৌঁছায় রাজভবনে। সেখানেই রাত্রিবাস করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। তিনি রাত কাটান ফোর্ট উইলিয়ামে।

চলতি বছরে এই নিয়ে চতুর্থবার পশ্চিমবঙ্গে এলেন নরেন্দ্র মোদি। সকাল ৯ টাতেই রাজভবন থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়ামে ছিলেন মোদি। দেড়টার পরে কলকাতা থেকে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

একদিকে বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি। অন্যদিকে অস্থির চিন সীমান্ত। তার মধ্যে আবার নেপালে পালাবদল। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের উত্তরে চিন বিমানঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে বলে একটি খবর ছড়ায়। ঘাঁটিটি নাকি আবার তৈরি হবে চিকেনস নেকের কাছেই। সবমিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিরাট এক জটিল সমীকরণ তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় কলকাতার বিজয় দুর্গে সেনা সম্মেলনের আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব
  • কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী মোদির