আগামী ২ মার্চ স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত হায়াত রিজেন্সি বার্সেলোনা টাওয়ারে বিশেষ সব ব্র্যান্ডের উপস্থাপনা প্রদর্শিত হবে। বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনুষ্ঠিতব্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২৫ আসরে তাদের নতুন কৌশলগত উদ্যোগ ‘অনার আলফা প্ল্যান’ উন্মোচনের সঙ্গে এআই নিয়ে নিজেদের নতুন সব উদ্ভাবন দর্শনার্থীর সামনে উপস্থাপন করবে।
বিশেষ ক্ষেত্রে ‘আলফা’ শব্দটি বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করে। একদিকে এটি যেমন এগিয়ে থাকা চিন্তাধারা প্রকাশ ধরে, অন্যদিকে ঠিক তেমনি সর্বোচ্চ উৎকর্ষতার বিষয় তুলে ধরে; একই সঙ্গে এটি উদ্ভাবন ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সময়োপযোগী পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। ব্র্যান্ডের আলফা প্ল্যান নিজস্ব নতুন কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে সব ধরনের মূলনীতি ধারণ করে।
নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে অংশীজনের মাধ্যমে উদ্ভাবন সমৃদ্ধ হবে। নিজেদের কৌশলগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ও বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার সীমানাকে আরও বাড়িয়ে শক্তিশালী এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলাই এখন ব্র্যান্ডের লক্ষ্য।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত ভবিষ্যৎমুখী কনজ্যুমার টেক নিশ্চিতে ব্র্যান্ডটি কাজ করছে। বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এখন ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান যে তিন কারণে পারমাণবিক অস্ত্র বানাবে না
বিশ্বরাজনীতিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি একটি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ইস্যু। পশ্চিমা শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, বহু বছর ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরান নাকি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বা যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আজ পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি, যা এ দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। অন্যদিকে ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে যে তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
প্রশ্ন হলো, যদি ইরান সত্যিই পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চাইত, তাহলে গত দুই দশকে তা তৈরি করেনি কেন? আর যদি তা না-ই চায়, তাহলে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাচ্ছে কেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে ইরানের ধর্মীয় অবস্থান, কৌশলগত চিন্তা, রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির দ্বিচারিতা একত্রে বিশ্লেষণ করতে হবে।
আরও পড়ুনইরান এবার বড় যুদ্ধের জন্য যেভাবে প্রস্তুত হবে০৬ জুলাই ২০২৫ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা ও নৈতিক অবস্থান২০০৩ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একটি ঐতিহাসিক ফতোয়া জারি করেন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়, ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মজুত কিংবা ব্যবহার ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।’ এ সিদ্ধান্ত শুধুই ধর্মীয় নয়, বরং একটি নৈতিক অবস্থানও, যেখানে নিরীহ মানুষ হত্যাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে। পারমাণবিক বোমা শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে না, বরং শহর, জনপদ ও লাখ লাখ নিরীহ মানুষের প্রাণ হরণ করে। ইসলামের যুদ্ধনীতিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ইরান মনে করে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার শুধু মানবতার বিরুদ্ধে নয়, পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিরুদ্ধে চরম অন্যায়। হিরোশিমা-নাগাসাকির দৃষ্টান্ত এ বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ দেয়।
কৌশলগত ও সামরিক বাস্তবতাঅনেকের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেই একটি দেশ নিরাপদ থাকে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করলেও ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানে অংশ নিতে বাধ্য হয়। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে। এমনকি রাশিয়া, যাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ পারমাণবিক অস্ত্র মজুত রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোর সঙ্গে কৌশলগতভাবে চাপে পড়েছে। ইসরায়েলও অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়া সত্ত্বেও ইরানের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ’-এ বড় ধরনের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
এ বাস্তবতা ইরানকে বুঝিয়ে দিয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্র নয়, কার্যকর প্রতিরোধক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। তাই তারা শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন এবং কৌশলগত অস্ত্র নির্মাণে জোর দিয়েছে।
সামরিক মহড়া চলাকালে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের অজ্ঞাত স্থান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি ছবিটি প্রকাশ করে ইরান