সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের অনেকেই দেশব্যাপী অপকর্ম করছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দফতরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের জনসমর্থন অনেক থাকলেও তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি।

নুর বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হয়ে আবারও রাজত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ডিএমপি পুরোপুরি সক্রিয় না হলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে।

তিনি বলেন, পতিত সরকারের অনেকে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের গ্রেফতার না করতে পারলে তারাও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাতারে যাচ্ছে- এটা অনেকেই প্রমাণ করতে চাচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে দেশি-বিদেশি এজেন্সি বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছে বলেও অভিযোগ আনেন নুর। এই বিদেশি অপতৎপরতা মোকাবিলায় পুলিশকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: র অন ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী 

বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।

কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” 

বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।” 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী