মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়বে না নতুন বাজেটে
Published: 25th, February 2025 GMT
আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট আগামী জুন মাসেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, নতুন বাজেটে মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হবে না। তবে করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী বাজেট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো সময়মতো বাজেট দিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও জুনের মধ্যেই বাজেট দিতে চায়। ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, বিস্কুটের ওপর ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও দু-একটা পণ্যের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো রোজার সময় দরকার হয়। এগুলোর বিষয়েও দেখা হবে। তা ছাড়া আগামী বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হবে না। তবে কর দেওয়ার যোগ্য ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এর আওতায় এনে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রোজা সামনে রেখে অর্থ উপদেষ্টার কাছে মানুষকে আশ্বস্ত করার মতো কোনো খবর আছে কিনা– এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে আশ্বস্ত করার খবর হলো, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময় যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
এদিকে দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সুইজারল্যান্ড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। ৭৮৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় দেশটির টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ারের কাছ থেকে এই এলএনজি কেনা হবে। এ ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড থেকে ৫০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দরে এ গম আমদানিতে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩১০ কোটি ৬ লাখ টাকা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আয়কর উপদ ষ ট সরক র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’
ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।
জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং