যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে আতঙ্ক-উত্তেজনা, ট্রাম্প আসলে কী চান
Published: 1st, November 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল রিচার্ড কোরেল ভেবেছিলেন, দেশটির পারমাণবিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার শুনানি সহজভাবেই শেষ হবে। তবে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের আগের দিন বুধবার রাত ৯টা ৪ মিনিটে সে আশা ভেঙে গেছে।
ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দেন। বলেন, তিনি মার্কিন বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা অবিলম্বে শুরু করতে বলেছেন। তাঁর যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনের পেছনে থাকতে পারে না।
ট্রাম্প বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিনেটে সশস্ত্র বাহিনী কমিটির প্রায় ৯০ মিনিটের শুনানিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে বারবার কোরেলকে প্রশ্ন করা হয়। ট্রাম্পের মন্তব্যে অনেক আইনপ্রণেতাই এ সময় ছিলেন বিভ্রান্ত। এ থেকে বোঝা যায়, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ও এর বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা পরিষ্কার করেননি যে ট্রাম্প পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থার পরীক্ষা করতে বলছেন, নাকি বিস্ফোরক পরীক্ষায় ৩৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ করতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্রাম্পের নির্দেশ বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, যা শীতল যুদ্ধের ভয়ংকর স্মৃতি ফিরিয়ে আনে।কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য সিনেটর জ্যাক রিড কোরেলকে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা শুরু করলে তা কি বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
কোরেল বলেন, ‘যদি আমাকে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের (স্ট্র্যাটকম) কমান্ডার হিসেবে নিশ্চিত করা হয়, আমার কাজ হবে, পারমাণবিক পরীক্ষাবিষয়ক যেকোনো আলোচনা সম্পর্কে সামরিক পরামর্শ দেওয়া।’
ভাইস অ্যাডমিরাল কোরেলকে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প স্ট্র্যাটকমের প্রধান করার জন্য মনোনীত করেন। স্ট্র্যাটকম পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধ ও আক্রমণের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করে। কোরেল পুরো শুনানিতে সতর্কভাবে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
পারমাণবিক অস্ত্রে রাশিয়া দ্বিতীয় ও চীন বেশ দূরে তৃতীয় অবস্থানে। কিন্তু দেশটি পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের সমপর্যায়ে উঠে আসতে পারে।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টশুনানির এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং প্রশ্ন করেন, ট্রাম্প কি পারমাণবিক ডিভাইসের বিস্ফোরক পরীক্ষা নয়, বরং ক্ষেপণাস্ত্র বা অন্য সরবরাহ ব্যবস্থা পরীক্ষার কথা বলছেন কি না।
জবাবে কোরেল বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য জানি না, তবে এটি এমন একটি ব্যাখ্যা হতে পারে, আমি তা মেনে নিই।’
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে গত বৃহস্পতিবার মুখোমুখি বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চায় আকিজ রিসোর্স
বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চায় আকিজ রিসোর্স। এরই মধ্যে নিজস্ব ডেটা সেন্টার এবং সফটওয়্যার তৈরির মাধ্যমে তারা গ্রাহক এবং সরবরাহকারীদের নিরবচ্ছিন্নভাবে সংযুক্ত করেছে এবং পয়েন্ট অব সেল সিস্টেম গড়ে তুলেছে। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের বীর উত্তম মীর শওকত সড়কে অবস্থিত আকিজ হাউসে আয়োজিত ‘প্রচলিত থেকে স্মার্ট: আকিজ রিসোর্স ডিজিটাল রূপান্তরের নেতৃত্ব দিচ্ছে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে আকিজ গ্রুপের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান আইবস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস কে মো. জায়েদ বিন রশিদ বলেন, অটোমেশন শুধু কাজের গতিই বাড়ায় না, এটি মানবসম্পদের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। বিশেষ করে আর্থিক এবং উৎপাদন খাতে অটোমেশনের বহুমাত্রিক প্রয়োগ উৎপাদনশীলতা কয়েক গুণ বাড়াতে সাহায্য করেছে, যা সরাসরি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এমন সব সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে সহজে ডিজিটাল লেনদেন এবং অ্যাকাউন্টিং ব্যবস্থাপনা করতে সাহায্য করছে।
আকিজ ইনফোটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম কামরুল হাসান বলেন, ‘দেশের বেসরকারি প্রযুক্তি খাত নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা এখন আর কেবল সফটওয়্যার বা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী নয়, এখন দেশের সামগ্রিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের স্থপতি। বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান, ডেটা নিরাপত্তা ও অটোমেশনের ওপর গুরুত্বারোপ বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত ডিজিটাল অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আকিজ রিসোর্সের চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার মো. ফিরোজ কবির ও আইবস লিমিটেডের চিফ সেলস অফিসার শাহেদ ইকবাল। আকিজ গ্রুপের ডিজিটাল ও স্মার্ট অফিস ম্যানেজমেন্ট ও এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজির উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন তাঁরা।