চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পদ্ম অঞ্চল-জাতীয় পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন খেলায় (একক) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুন্সীগঞ্জের কাজী জান্নাতুল রাহিম প্রাচুর্য। বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামসহ ৪টি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। 
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন। তিনি চ্যাম্পিয়ন কাজী জান্নাতুল রাহিম প্রাচুর্যের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ। 
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার জিয়াউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. আজম খান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার এহসানুল কবির, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. একেএম সামসুদ্দিন আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী, মো. শহিদুল আলম, অধ্যাপক মো. মোরশেদ আলম, অধ্যাপক এমদাদ আলম।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
আয়োজক সূত্র জানায়, ৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে ৯ শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি আয়োজিত আসরে সারাদেশকে চাঁপা, বকুল, গোলাপ ও পদ্ম নামে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়। ব্যাডমিন্টন খেলায় (একক) চ্যাম্পিয়ন হয় মুন্সীগঞ্জের কাজী কমরউদ্দিন ও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী জান্নাতুল রাহিম প্রাচুর্য।  
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সে আমার সমালোচক, সেই সবচেয়ে বড় ভরসা: বাঁধন

সবসময় একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে আগলে রাখেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে কোরবানি ঈদে ছবি মুক্তি পাওয়ায় হলে হলে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। নিজের ব্যস্ততার কারণে মেয়েকে সময় দিতে পারেননি বলে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। 

আজ সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার শক্তির উৎস। আজ তার (মিশেল আমানি সায়রা) দিন। ঈদের পর থেকে এত ব্যস্ত ছিলাম যে তার সঙ্গে ঠিকভাবে সময় কাটানো হয়নি। অথচ সে পুরো সময়টা আমার হাত ধরে ছিল।’

তিনি লিখেছেন, “আমার মনে আছে, ঈদের দিন সিনেমা দেখে বাসায় ফিরে মনটা ভেঙে গিয়েছিল। হলে খুব কম লোক ছিল। তা দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। তখন সে বলেছিল, ‘মা, আজ ঈদের দিন। সবাই ব্যস্ত। বিশ্বাস করো সিনেমা দেখতে লোক আসবেই।’ আমার সঙ্গে সিনেমাটি দেখার পর সে বলেছিলে, এটা তোমার সেরা কাজগুলোর একটি।”

সবশেষে বাঁধন লিখেছেন, ‘সে আমার সমালোচক। আবার সেই সবচেয়ে বড় ভরসাও। ব্যস্ততা শেষে আজ আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি। দুপুরের খাবার, কেনাকাটা, সিনেমা-সবই ছিল শুধু তার জন্য। আজকের দিনটি তার জন্য যে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি হয়ে পাশে থেকেছে।’

বলে রাখা ভালো, গতবছর একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন বাঁধন। 

প্রসঙ্গত, এবারের কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন সানি সানোয়ার। এতে আজমেরী হক বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন, পূজা, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ