টানা ১১ সপ্তাহ ধরে মজুরি ও রেশন পাচ্ছেন না সিলেট বুরজান চা বাগান, বুরজান চা কারখানা, দড়াগাং চা বাগান ও কালাগুল চা বাগানের শতাধিক শ্রমিক। বেতন ভাতা না পেয়ে চা শিল্প শ্রমকল্যাণ বিভাগের উপ-পরিচালক বরাবর ১১ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

রোববার দুপুরে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে অবিলম্বে ১১ দফা দাবি মেনে তাদেরকে দূর্ভোগ থেকে মুক্তির দাবি জানানো হয়। 

উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হল, ১১ সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকা মজুরী দেওয়া, বাগান সরদারদের মাসিক বেতন  দেওয়া, চা শ্রমিকদের সাপ্তাহিক রেশন প্রদান, বাগানের মাসিক বেতন প্রাপ্ত শ্রমিকদের বেতন প্রদান, ৮ মাস ধরে চা শ্রমিকদের কর্তনকৃত পিএফ টাকা ফান্ড অফিসে জমা, শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান, শ্রমিকদের নিয়মিত বসত বাড়ি নির্মাণ, টিন, কাঠ, দরজা, জানালা প্রদান, শ্রমিকদের এরিয়া বকেয়া টাকা ও বকেয়া বোনাসের টাকা প্রদান, আইন মোতাবেক খাবার পানি ও স্যানিটেশন প্রদান এবং চা বাগানের অবসরে থাকা শ্রমিকদের ফান্ডের টাকা দেওয়া।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, বাগান কর্তৃপক্ষ চা বাগানের গাছ কেটে বিক্রয় করছে কিন্ত শ্রমিকদের দেনা পাওনা মজুরী, রেশন প্রদান করছে না। তারা জানান, চা বাগানের শ্রমিকরা যথাযথ মজুরী না পাওয়ায় তাদের সন্তানরা স্কুল কলেজে ভর্তি হতে পারছে না।

বাগান পঞ্চায়েত কমিটির নেতারা জানান, ১১ দফা দাবিতে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বাগান বন্ধ হলে বা  শ্রমিকরা কর্ম বিরতিতে গেলে ক্ষতির দায়ভার বাগান কর্তৃপক্ষ ও বাগান মালিককে বহন করতে হবে।

সিলেট ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক দেবু বাউরির সভাপতিত্বে ও সোহাগ ছত্রী ও আতাউর রহমানা শামীমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন কালাগুল চা বাগানের সভাপতি রনজিত নায়েক, দড়াগাংচা বাগানের কমল চাষা, খাদিম চা বাগানের সমুজ আলী, জাফলংয়ের সজল চাষা, লাক্কাতুরার বিরেন সিং,হিলুয়াছাড়ার শিপন পাল, বুরজান চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি রতি লাল, প্রত্যাশা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সুহেল প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ম রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাহায্য করতে ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোস্তাক গাউসুল হক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারিক মনজুর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।

রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচন পরিচালনার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন ও নির্বাচনপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সদস্য পদ, ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে হলে শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক, মাস্টার্স বা এম ফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত হতে হবে।

সন্ধ্যাকালীন কোর্স, পেশাদার বা এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার যোগ্য হবেন না। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

ডাকসুতে নতুন ৪ পদ

হালনাগাদ করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নতুন করে তিনটি সম্পাদকীয় পদ সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো হলো গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক।

নির্বাচন পরিচালনার কাঠামো

প্রতিটি আবাসিক হলে অথবা ক্যাম্পাসের ভেতরে উপযুক্ত কোনো স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দেবেন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর তিন কর্মদিবসের মধ্যে কেউ আপত্তি জানালে তা উপাচার্যের কাছে দাখিল করা যাবে এবং এ বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনডাকসু নির্বাচনের কমিশন ও তফসিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ