সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি। হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা নেচে-গেয়ে ও রঙ ছিটিয়ে হোলি উৎসব উদযাপন করছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে রোববার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত। 

চা বাগানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব বয়সী শ্রমিকরা এ হোলি উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। তবে, শিশুদের মধ্যে উৎসাহ বেশি দেখা গেছে। 

চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বোতলে রঙ ভরে নিয়ে হোলি খেলায় মেতেছেন। তার সঙ্গে চলছে লাঠি নিয়ে নাচ ও গান। প্রথমে রঙ ছিটানো হয় ও পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি নিয়ে নাচ করা হয়। এক জনকে গান গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে মাদল বাজাচ্ছেন আরেকজন। 

দেউন্দি চা বাগানের প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, হোলি হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি।

তিনি বলেন, চৈত্র মাসে দোল উৎসব উপলক্ষে লাঠি নাচ ও গান হয়। লাঠি নাচের বিভিন্ন ধরন আছে, সেগুলো হলো—পিঠজোড়নি, সন্ধিবেঠ, তিন ডাড়িয়া, ছেটরা, রেখনি প্রভৃতি। 

সুনীল বিশ্বাস জানান, হোলি উপলক্ষে চা বাগানে চলছে তিন দিনের ছুটি। এই দিন ধরেই হবে হোলি উৎসব। শুধু তাই নয়, পুরো চৈত্র মাস ধরে চলে দোল পূর্ণিমার আনন্দ।

চা বাগানের বাসিন্দা আমোদ মাল বলেন, বাগানের শ্রমিকরা হোলি উৎসবে মেতে উঠেছে। দেউন্দি বাগানে প্রতি বছর গুরুত্ব সহকারে এ উৎসব উৎযাপন করা হয়ে থাকে। এ বছরও সেভাবেই হচ্ছে।

একইভাবে হোলি উৎসব চলছে চান্দপুর, চন্ডিছড়া, নালুয়া, আমু, লস্করপুর, চাকলাপুঞ্জি, রেমা, পারকুল, শ্রীবাড়ি, দেউন্দি, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, সুরমা, আমতলী, রশিদপুর, মধুপুরসহ জেলার ৪১টি চা বাগানে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে

প্রথম আলো:

‘উৎসব’ ছাড়া এবার অন্য কোনো কাজ দেখা যায়নি। এটা কি সচেতনভাবেই করা হয়েছে?

সৌম্য জ্যোতি : সচেতনভাবেই কাজ করিনি। আমার জীবনে প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা, এটার জন্য অন্য কোনো কাজ করিনি, চাইওনি। উৎসবের সাড়ার পরও আমি একটু বিরতি নেব। পরের কাজটাও একটু ভেবেচিন্তে করব।

প্রথম আলো :

অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ কি শৈশব থেকেই, নাকি পরে তৈরি হয়েছে?

সৌম্য জ্যোতি : ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু নিজে অভিনয় করব, এ চিন্তা কখনো ছিল না। হঠাৎ করে ঘটনাক্রমে অভিনয় শুরু করা। এরপর মানুষের ভালো লাগা পেলাম, সিরিয়াসলি নেওয়া শুরু করলাম। দর্শক যেহেতু প্রশংসা করছেন, তাই কাজটা করছি, কাজটা প্রতিদিন শিখছিও।

জাহাঙ্গীর ও জেসমিনের দুই বয়সের চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌম্য জ্যোতি, জাহিদ হাসান এবং সাদিয়া আয়মান ও আফসানা মিমি। সাদিয়া আয়মানের ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ১০ দিন পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাণিজ্য শুরু 
  • ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন
  • ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল
  • টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ, রবিবার খুলছে সরকারি অফিস
  • চেনা রূপে বরিশাল নদীবন্দর, ঈদফেরত যাত্রীদের ভিড়
  • রাজশাহীতে ঢাকাগামী টিকিটে বাড়তি ভাড়া আদায়, ৩ কাউন্টারকে জরিমানা
  • কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল
  • ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে ঈদের সেরা চার নাটক