হোলি উৎসবে রঙ ও লাঠি নাচে মেতেছেন চা শ্রমিকরা
Published: 14th, March 2025 GMT
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি। হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা নেচে-গেয়ে ও রঙ ছিটিয়ে হোলি উৎসব উদযাপন করছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে রোববার (১৬ মার্চ) পর্যন্ত।
চা বাগানের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব বয়সী শ্রমিকরা এ হোলি উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। তবে, শিশুদের মধ্যে উৎসাহ বেশি দেখা গেছে।
চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বোতলে রঙ ভরে নিয়ে হোলি খেলায় মেতেছেন। তার সঙ্গে চলছে লাঠি নিয়ে নাচ ও গান। প্রথমে রঙ ছিটানো হয় ও পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি নিয়ে নাচ করা হয়। এক জনকে গান গাইতে দেখা যায়। তার সঙ্গে মাদল বাজাচ্ছেন আরেকজন।
দেউন্দি চা বাগানের প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, হোলি হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি।
তিনি বলেন, চৈত্র মাসে দোল উৎসব উপলক্ষে লাঠি নাচ ও গান হয়। লাঠি নাচের বিভিন্ন ধরন আছে, সেগুলো হলো—পিঠজোড়নি, সন্ধিবেঠ, তিন ডাড়িয়া, ছেটরা, রেখনি প্রভৃতি।
সুনীল বিশ্বাস জানান, হোলি উপলক্ষে চা বাগানে চলছে তিন দিনের ছুটি। এই দিন ধরেই হবে হোলি উৎসব। শুধু তাই নয়, পুরো চৈত্র মাস ধরে চলে দোল পূর্ণিমার আনন্দ।
চা বাগানের বাসিন্দা আমোদ মাল বলেন, বাগানের শ্রমিকরা হোলি উৎসবে মেতে উঠেছে। দেউন্দি বাগানে প্রতি বছর গুরুত্ব সহকারে এ উৎসব উৎযাপন করা হয়ে থাকে। এ বছরও সেভাবেই হচ্ছে।
একইভাবে হোলি উৎসব চলছে চান্দপুর, চন্ডিছড়া, নালুয়া, আমু, লস্করপুর, চাকলাপুঞ্জি, রেমা, পারকুল, শ্রীবাড়ি, দেউন্দি, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, সুরমা, আমতলী, রশিদপুর, মধুপুরসহ জেলার ৪১টি চা বাগানে।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
ছবি: সংগৃহীত