ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে এটিএন বাংলার পাবনা প্রতিনিধি মোবারক বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) তাকে পাবনা পৌর এলাকার রাধানগর ময়দানপাড়া এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোবারক বিশ্বাস ময়দানপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের ছেলে এবং এটিএন বাংলা ও দৈনিক খবরপত্রের পাবনা প্রতিনিধি। আগের ৫টিসহ এ নিয়ে ৬টি মামলার আসামি হলেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাবনার কোমরপুরের তামান্না এন্টারপ্রাইজের মালিক তোফাজ্জল বিশ্বাসকে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিপুল অংকের টাকা দাবি করেন মোবারক। দিতে অস্বীকার করলে অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকিও দেন তিনি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “তার বিরুদ্ধে আমরা একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতার কারণে ৫ আগস্ট তাকে গণপিটুনি দেয় ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে এসব অপকর্ম করেছিলেন, কিন্তু পটপরিবর্তনে বিএনপিপন্থি পরিচয়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছিলেন তিনি। 

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তিনি যদি কোন অপকর্ম করে থাকেন তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

ঢাকা/শাহীন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী 

বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।

কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”

তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” 

বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।” 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী