বরিশালে মতবিনিময় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন, সারাদেশে নেতাকর্মীর অপকর্মের কারণে দলের ভোট কমে যাচ্ছে। হুঁশিয়ার করে তারা বলেন, সামনে কঠিন সময়। আন্দোলন-সংগ্রামের মতো নির্বাচনেও ঐক্য ধরে রাখতে হবে। স্কুল ও মসজিদ কমিটি কিংবা বাজারঘাটের ইজারায় যাওয়া যাবে না।

রোববার নগরের বরিশাল ক্লাবে বিভাগের ছয় জেলার আট সাংগঠনিক কমিটির নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিনিময়ে কঠোর গোপনীয়তা ছিল। অংশগ্রহণকারীদের সভাকক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারে ছিল বিধিনিষেধ। এর পরও দক্ষিণ জেলায় পকেট কমিটি গঠনের পাঁয়তারার অভিযোগ তুলে একাংশ সভা থেকে বের হয়ে বাইরে বিক্ষোভ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় টিমপ্রধান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘সামনে কঠিন সময়। নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে।’

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়ে দলকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না স্কুল কমিটি, মসজিদ কমিটি, বাজারঘাটের ডাকে নেতাকর্মীকে যেতে নিষেধ করেন। ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘নেতাকর্মীর বদনামের জন্য দলের ভোট কমে যাচ্ছে।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাজিব আহসান বলেন, ‘আপনারা অঙ্গ সংগঠনকে কেবল শাসান। অভিভাবক হয়ে আপনারা অপকর্ম করলে অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও সেদিকেই ধাবিত হয়।’

সভায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান শহীদুল্লাহ, ভোলা জেলা আহ্বায়ক আলমগীর নবী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

জানতে চাইলে আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, ‘কুচক্রী মহল নেতাকর্মীকে ভুল পথে নিচ্ছে। এ জন্য আমরা সাবধান করছি। নেতাদের বলা হয়েছে, চাপ দিয়ে কোনো কমিটিতে আসা যাবে না।’ ভোট কমে যাওয়া বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোট কম-বৃদ্ধি বিষয় না। নেতাকর্মীর প্রতি স্পষ্ট বার্তা– আওয়ামী লীগ যে ভাষায় কথা বলেছে, তা বলা যাবে না। জনগণের পাশে থাকতে হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল ব এনপ ন ত কর ম র ব এনপ র কর ম ক ভ ট কম

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে

ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন

গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।

ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।

একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)

পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।

অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণ

কাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।

কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।

রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।

ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।

আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণ

কাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।

কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।

পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।

হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়

ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ

মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ

বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ

কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ী

সিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)

সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)

খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।

দাগ দূর করার টিপস

কোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।

এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।

পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

কাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।

কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।

লন্ড্রি পড ব্যবহার করলে

ছোট লোড: ১ পড

মাঝারি লোড: ২ পড

বড় লোড: ৩ পড

সূত্র: গুড হাউসকিপিং

আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ