দেশে বর্তমানে ৭১টি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। এগুলো বাংলাদেশ গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। এর বাইরে আরও অন্তত দুই হাজার গ্রন্থাগার আছে, যেগুলো বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। এসব গ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা দিন দিন কমতে শুরু করেছে। বই পড়ার গুরুত্ব সরকারের তরফ থেকে নানা সময়ে উচ্চারিত হয়। কিন্তু বই পড়াকে আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না।

২৫ থেকে ৩০ বছর আগেও পাড়া-মহল্লায় ছোট ছোট পাঠাগার দেখা যেত। সেখানে বসে প্রবীণেরা পত্রিকা পড়তেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বসে বই পড়তে দেখা যেত। অনেকেই সদস্য হয়ে সেখান থেকে বই ধার করে ঘরে বসে পড়তেন। খুব অল্প টাকা দিয়েই এসব পাঠাগারের সাধারণ সদস্য বা জীবন সদস্য হওয়া যেত। সদস্য হওয়ার বিপরীতে অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার বই পড়ার সুযোগ থাকত। কিন্তু এখন এ ধরনের পাঠাগারগুলো জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। অসংখ্য পাঠাগার পাঠকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

বাস্তবতা এই, এখনকার শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ আর কোচিং-বাসার বাইরে সময় কাটানোর মতো অবসর পায় না। তাদের মধ্যে সাহিত্য-সংস্কৃতির আলাদা চর্চা তেমন চোখে পড়ে না। পাঠাগার না থাকার কারণে প্রবীণদের জন্যও পড়ার মধ্য দিয়ে সময় কাটানোর সুযোগ ঘটে না। পাঠাভ্যাস কমে যাওয়ার পেছনে দায়ী করা হয় ইন্টারনেটকে। কিন্তু আমাদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও যে উদ্যোগের ঘাটতি আছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি আছে। একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার বই ও পত্রিকা আছে। কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারেই আছে ৭ লাখের বেশি বই ও বাঁধাই করা সাময়িকী এবং ৬০ হাজারের মতো প্রাচীন পুঁথি ও দুষ্প্রাপ্য বই। তবে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোয় বসে শিক্ষার্থীদের বই বা পত্রিকা পড়তে দেখা যায় না। তরুণেরা সেখানে যান বিসিএস বা চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। গাইড বই পড়ার জন্য রীতিমতো আসন দখলের লড়াই চলে! এমনকি যাঁরা গবেষণাকাজ করেন, তাঁরাও পারতপক্ষে গ্রন্থাগার ব্যবহার করেন না। অনলাইন থেকে বইয়ের পিডিএফ কপি ব্যবহার করে কাজ সারতে চান।

ইকে পাঠকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি আরেকটি উদ্যোগ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর অর্থসহায়তা দিয়ে এসেছে। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগও সচল রাখা দরকার।

সরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের কাজ দেশের পাঠাগারগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করা। এটি পরিচালিত হয় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন। এর কাজের মধ্যে আছে বেসরকারি পাঠাগারগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়া ও বই প্রদান করা। নিবন্ধিত বেসরকারি পাঠাগারকে বছরে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিয়ে থাকে গ্রন্থকেন্দ্র। এর মধ্যে অর্ধেক টাকার বই দেওয়া হয়, আর বাকি অর্ধেক টাকা নগদ দেওয়া হয়।

পাঠাগারগুলোর দাবি, বরাদ্দের টাকা তুলতে গিয়ে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তা ছাড়া এই স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো নতুন বই কেনা কিংবা পাঠাগারের সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হয় না। আর যেসব বই গ্রন্থকেন্দ্র থেকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়, সেসব বই পড়ার ব্যাপারে পাঠকদের আগ্রহ থাকে না। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় বই বা প্রকাশনী নির্বাচন করা হয়। তাই বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গ্রন্থকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদেরও যুক্ত করা দরকার।
যেসব পাঠাগার অনুদান পাচ্ছে, সেগুলোর বাস্তব অবস্থাও যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে না গ্রন্থকেন্দ্র।

এমনও দেখা গেছে, যে পাঠাগারের নামে অর্থ বরাদ্দ নেওয়া হচ্ছে, বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্বই নেই। কিংবা কোনো কোনো পাঠাগারের শুধু সাইনবোর্ড আছে। অথবা কোনো ব্যক্তির বসার ঘরের একটি সেলফেই পাঠাগার সীমাবদ্ধ! এভাবে পাঠাগারের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা পত্রিকার সংবাদে নানা সময়ে উঠে এসেছে। তাই অনুদান যাচাই-বাছাই করা কিংবা অর্থ বরাদ্দের আগে পাঠাগার পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকা উচিত।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের হিসাবে, দেশে তালিকাভুক্ত বেসরকারি পাঠাগার আছে প্রায় ১ হাজার ৩০০টি। এর মধ্যে কেবল গত অর্থবছরেই সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান পেয়েছে ৯২৩টি। মাস দুয়েক আগে প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র নতুন তালিকাভুক্ত ৫৪টি পাঠাগার পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১৯টিরই কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এ ধরনের প্রতারণা থেকে মুক্তির জন্য এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি করা দরকার, যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত সব পাঠাগারের কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যালোচনা করা যায়।

পাঠাগারগুলোয় পাঠক বাড়াতে চাইলে সেখানকার সুবিধা বাড়াতে হবে। বই অনুসন্ধানের এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে একজন পাঠক অনলাইনে সার্চ দিয়ে তা সহজেই দেখে নিতে পারেন। ইন্টারনেট সার্চিং ও ই–মেইল ব্রাউজিংয়ের জন্য ওয়াই–ফাই সুবিধা রাখা এখন সময়ের দাবি। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ফটোকপির সুযোগ রাখা যেতে পারে। একেকটি পাঠাগারের পরিবেশ এমন হবে, যাতে পাঠক বসে বই পড়ার আগ্রহ অনুভব করেন। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা ও হালকা নাশতা গ্রহণের জন্য গ্রন্থাগারের সঙ্গে আলাদা জায়গা রাখা যেতে পারে।

অনেক গ্রন্থাগারে পুরোনো পুঁথি ও দুষ্প্রাপ্য বই রয়েছে। সেগুলো এখন আর সাধারণ পাঠকের হাতে তুলে দেওয়ার অবস্থায় নেই। এসব পুঁথি ও বইকে মাইক্রোফিল্ম আকারে কিংবা পিডিএফ করে পাঠকের জন্য ব্যবহারযোগ্য করা যায়। তা ছাড়া প্রতিবছরই বইমেলা থেকে বইয়ের তালিকা করে নতুন নতুন বই পাঠাগারে তোলা দরকার।
বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হলে স্কুল পর্যায়েই উদ্যোগ নিতে হবে। যেমন সপ্তাহে একটি লাইব্রেরি ক্লাস রাখতে হবে। এই ক্লাসে শ্রেণির সব শিক্ষার্থী স্কুলের পাঠাগারে গিয়ে বসবে। সেখান থেকে পছন্দসই বই নিয়ে সময়টুকু কাটাবে। পাঠাগার থেকে বই বাড়িতে নিয়ে পড়ারও সুযোগ রাখতে হবে।

ক্লাসরুম লাইব্রেরির ধারণাটিও শিশুশিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্লাসরুমে একটি শেলফ থাকবে, যেখানে শিক্ষার্থীদের বয়স উপযোগী বই রাখা হবে। এখান থেকে বই নিয়ে তারা পড়তে পারবে, বাড়িতেও বই নিয়ে যেতে পারবে। ক্লাসরুম লাইব্রেরি নিয়ন্ত্রণ করবেন ওই শ্রেণির কোনো শিক্ষক। তবে তা পরিচালিত হবে সরাসরি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে।

বইকে পাঠকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি আরেকটি উদ্যোগ। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর অর্থসহায়তা দিয়ে এসেছে। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগও সচল রাখা দরকার।

তারিক মনজুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ঠ গ রগ ল পর চ ল ত ব সরক র বর দ দ অন দ ন র জন য দরক র বছর র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা

রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।

এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।

এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।

সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।

রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ