বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, দেশে আবারও ১/১১-এর কুশীলবরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সে সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চরিত্রে কালিমা লেপন করেছিল। একজন রাজনীতিবিদের জীবনে যখন সফলতার সুবর্ণ সময়, তখন তাঁর ওপরে নানা মিথ্যা দোষারোপ করে এরা কালিমা লেপন করেছিল। শুক্রবার নাটোর জেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কুশীলবদের ষড়যন্ত্রে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মতো ত্যাগী ও গুণী নেতা তাদের দেওয়া কালিমা গায়ে নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন জানিয়ে দুলু বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে তারা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ছাত্র-জনতা যখন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করছে, তখন ১/১১-এর কুশীলবরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজনীতিবিদদের চরিত্রে আবারও কালিমা লেপন করে তারা বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সুবিধা নিতে চায়।

নাটোর উপশহর মাঠে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাবেক এমপি অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ। 

বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদর থানার আহ্বায়ক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার প্রমুখ। 
দুলু বলেন, এ দেশের ছাত্র-জনতা হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দুর্নীতিবাজ, ভোটচোর আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। দেশের মানুষ নতুন করে দেশ গড়ার চেষ্টা শুরু করেছে, ভোট চোরমুক্ত পরিবেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে। 

নিজে অল্প বয়সে এমপি এবং মন্ত্রী হয়েছিলেন জানিয়ে দুলু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবনের যে সোনালি সময়ে এ দেশের হাল ধরার করার কথা ছিল, সে সময় এসব কুশীলব তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিল। দেশে নতুন করে আবারও সে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
 
দেশের মানুষকে এসব কুশীলবের কর্মকাণ্ড নিয়ে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। কুশীলবদের ষড়যন্ত্র এবার দেশের মানুষ রুখে দেবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ষড়যন ত র শ র র ষড়যন ত র ব এনপ র সরক র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব
  • চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে