ডিজনি একটি ওপেন সোর্স ফিজিকস ইঞ্জিন তৈরি করতে এনভিডিয়া ও গুগল ডিপমাইন্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। ইঞ্জিনটি রোবটকে জটিল কাজ করা শেখাবে। ডিজনি তার বিভিন্ন থিম পার্কে এসব রোবটকে বিনোদন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করবে।

এ সপ্তাহে চিপ নির্মাতা এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং ব্লু নামে একটি রোবট উন্মোচন করেন। এনভিডিয়ার জিটিসি এআই সম্মেলনে এই রোবট দেখা যায়। তখন হুয়াং বলেন, ডিজনি রিসার্চ এনভিডিয়া ও গুগল ডিপমাইন্ডের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। নিউটন নামের একটি ওপেন সোর্স ফিজিকস ইঞ্জিন তৈরি করা হবে। ব্লুর মতো রোবটকে জটিল কাজগুলো আরও সঠিকভাবে করতে শেখাবে সেই ইঞ্জিন। নিউটন এনভিডিয়া ওয়ার্প ফ্রেমওয়ার্কের ওপর নির্মিত হবে। ডিজনি রিসার্চ তার রোবোটিক চরিত্রকে আরও প্রাণবন্ত ও অভিব্যক্তিপূর্ণ করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। ডিজনি রিসার্চই প্রথম নিউটনকে ব্যবহার করবে। পরবর্তী প্রজন্মের বিনোদননির্ভর রোবটকে পরিচালনা করবে এই মেশিন।

গত বছরের ডিসেম্বরে গুগল ডিপমাইন্ড ও ডিজনি রিসার্চের মধ্যে প্রথম আলাপ হয় এ বিষয়ে। এ বছর নতুন ইঞ্জিনের রোবট ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড, টোকিও ডিজনিল্যান্ড ও ডিজনিল্যান্ড প্যারিসে আসবে। ডিজনি ইমাজিনার্স ২০২৩ সালে ডিজনি ইভেন্টে প্রথম রোবট প্রকাশ করেছিল। প্রদর্শনের সময় তখন তিনটি রোবট ডিজনির হলিউড স্টুডিওতে চলাফেরা করছিল। যদিও ডিজনি কয়েক দশক ধরে তার পার্কের আকর্ষণে অডিও-অ্যানিম্যাট্রনিক ফিগার ব্যবহার করে আসছে, সেখানে নতুন ড্রয়েড কোম্পানির রোবট গেমকে নতুন স্তরে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মূল বক্তৃতার সময় হুয়াং একটি ওপেন সোর্স হিউম্যানয়েড রোবট ফাউন্ডেশনাল মডেল আইজ্যাক জিআর০০টি এন১ ঘোষণা করেন। সম্পূর্ণ কাস্টমাইজযোগ্য এই মডেলকে এনভিডিয়া প্রশিক্ষণ দিয়ে মুক্ত করবে। পরবর্তী সময়ে তা বিশ্বব্যাপী রোবোটিকস ডেভেলপারদের কাছে ছাড়া হবে। হুয়াং জিটিসি সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন যে হিউম্যানয়েড বা মানুষের মতো দেখতে রোবট কয়েক দশকের বদলে কয়েক বছরের মধ্যে কারখানার শ্রমিকদের প্রতিস্থাপন করবে। পাঁচ বছরের মধ্যে তা হতে পারে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর এনভ ড য ও ড জন

এছাড়াও পড়ুন:

টাইমড আউটের ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে এখন ক্ষোভ নেই ম্যাথুসের

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস সেই স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবেন বলে মনে হয় না।

বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ম্যাচ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতে যে ম্যাচ জেতার কোনো বিকল্প ছিল না শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুই দলেরই, ব্যাটিং করতে নেমে তাঁর দল ছিল বিপদে, এমন সময় কিনা ম্যাথুস হলেন ইতিহাসের প্রথম টাইমড আউট।

২০২৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাথুসের বিপক্ষে সেই টাইমড আউটের আবেদন করার পর তা আর ফিরিয়ে নেননি। কোনো বল না খেলেই তাই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছিল ম্যাথুসকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্ষোভ বা অভিমান যেটাই হোক, এত জলদি সেটা চলে যাওয়ার কথা না ম্যাথুসের মন থেকে।

যে দলটার বিপক্ষে তাঁর এমন স্মৃতি, সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলেই অবসরে যাচ্ছেন ম্যাথুস। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া গল টেস্টই এই সংস্করণে তাঁর শেষ ম্যাচ। এর আগের দিন আজ টেস্ট জার্সি গায়েই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ম্যাথুস। প্রশ্নোত্তরের এক ফাঁকে স্বাভাবিকভাবেই এল বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।

আমার তখন রাগ ও হতাশা ছিল। আমি ভুল কিছু করিনি। ম্যাচের পর যখন ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের ভিডিওটা দেখাই, তখন তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস

ম্যাথুস অবশ্য দাবি করলেন, ওই ঘটনা নিয়ে এখন আর কোনো ক্ষোভ নেই তাঁর মনে, ‘ঘটনাটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমার বন্ধু, তাদের বিপক্ষে (ব্যক্তিগতভাবে) আমার কিছু নেই। আমাদের সঙ্গে সব সময় ভালো (আচরণ) করেছে ওরা। ওই সময় আমাদের কিছু বাক্যবিনিময় হয়েছিল, কিন্তু আমি ক্ষোভ ধরে রাখি না। ক্ষোভ ক্রিকেটের জন্য খারাপ শব্দ।’

আরও পড়ুননীরবতা ভেঙে পাকিস্তানের চাকরি ছাড়ার কারণ জানালেন কারস্টেন৭ মিনিট আগে

এখন মনে কিছু না থাকলেও ওই ঘটনা যে দীর্ঘদিন ম্যাথুসকে পীড়া দিয়েছে, সেটা বোঝা যাবে সম্প্রতি তাঁর দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকেই। ক্রিকইনফোর সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, টাইমড আউটের ওই ঘটনার পর নাকি আম্পায়াররা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁর কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছেন।

শেষ টেস্টের আগে অনুশীলনে ম্যাথুস

সম্পর্কিত নিবন্ধ