রেস্তোরাঁয় বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংসের একটি পদ। পুরোটা নয়, দেওয়া হচ্ছে একটি মুরগির অর্ধেক মাংস। আর খাবারের সেই পদের দাম রাখা হচ্ছে ৮ হাজার টাকা (৬৬ ডলার)। এমনটিই ঘটছে চীনের সাংহাই শহরের একটি রেস্তোরাঁয়। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, তাদের রান্না করা মুরগিগুলো ‘দুধ খেয়ে আর গান শুনে’ বড় হয়েছে। তাই দামটা বেশি।

ওই রেস্তোরাঁর নাম সাংহাই ক্লাব। সম্প্রতি সেখানে খাবার খেতে যাওয়া এক ব্যক্তি ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। মুরগির পদটির দাম দেখে রীতিমতো হকচকিয়ে ওঠার পর বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর কাছে। তিনি বলেন, গান শুনে ও দুধ খেয়ে বড় হওয়া বিশেষ এই মুরগিগুলো ‘সানফ্লাওয়ার চিকেন’ জাতের। এই জাতটি খুবই বিরল।

এই জাতের মুরগি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের একটি মাত্র খামারে লালন–পালন করা হয়। অনলাইনে ওই খামারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সানফ্লাওয়ার চিকেন জাতের মুরগিকে সূর্যমুখী গাছের কাণ্ড ও ফুলের নির্যাস খাওয়ানো হয়। তবে এই খাবার নিয়ে তেমন একটা সমস্যায় পড়তে হয় না খামারটিকে। কারণ, সেখানে সূর্যমুখী চাষও করা হয়।

সানফ্লাওয়ার চিকেন আরও বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। পুরো একটি মুরগির দাম পড়তে পারে ১৪০ ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এই মুরগিগুলোকে গান শোনানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন গুয়াংডংয়ের ওই খামারের এক কর্মী। তবে দুধ খাওয়ানোর বিষয়টি সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

মুরগির মাংসের পদটির দাম শোনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিঠাট্টা করতে ছাড়ছেন না লোকজন। চীনের শানক্সি প্রদেশের একজন লিখেছেন, ‘আমার মুরগিগুলোর দাম কি ৩৪ হাজার টাকা (২৬০ ডলার) রাখতে পারব? আমি সেগুলোকে শানস্কি গান শুনিয়ে বড় করেছি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘পণ্য বিক্রির জন্য আজগুবি গল্প ফাঁদা হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম রগ গ ল ম রগ র

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ