‘গান শোনা’ মুরগি বলে মাংসের দাম বেশি
Published: 28th, March 2025 GMT
রেস্তোরাঁয় বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংসের একটি পদ। পুরোটা নয়, দেওয়া হচ্ছে একটি মুরগির অর্ধেক মাংস। আর খাবারের সেই পদের দাম রাখা হচ্ছে ৮ হাজার টাকা (৬৬ ডলার)। এমনটিই ঘটছে চীনের সাংহাই শহরের একটি রেস্তোরাঁয়। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, তাদের রান্না করা মুরগিগুলো ‘দুধ খেয়ে আর গান শুনে’ বড় হয়েছে। তাই দামটা বেশি।
ওই রেস্তোরাঁর নাম সাংহাই ক্লাব। সম্প্রতি সেখানে খাবার খেতে যাওয়া এক ব্যক্তি ইন্টারনেটে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। মুরগির পদটির দাম দেখে রীতিমতো হকচকিয়ে ওঠার পর বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান রেস্তোরাঁর এক কর্মচারীর কাছে। তিনি বলেন, গান শুনে ও দুধ খেয়ে বড় হওয়া বিশেষ এই মুরগিগুলো ‘সানফ্লাওয়ার চিকেন’ জাতের। এই জাতটি খুবই বিরল।
এই জাতের মুরগি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের একটি মাত্র খামারে লালন–পালন করা হয়। অনলাইনে ওই খামারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সানফ্লাওয়ার চিকেন জাতের মুরগিকে সূর্যমুখী গাছের কাণ্ড ও ফুলের নির্যাস খাওয়ানো হয়। তবে এই খাবার নিয়ে তেমন একটা সমস্যায় পড়তে হয় না খামারটিকে। কারণ, সেখানে সূর্যমুখী চাষও করা হয়।
সানফ্লাওয়ার চিকেন আরও বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। পুরো একটি মুরগির দাম পড়তে পারে ১৪০ ডলার বা প্রায় ১৭ হাজার টাকা। এই মুরগিগুলোকে গান শোনানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন গুয়াংডংয়ের ওই খামারের এক কর্মী। তবে দুধ খাওয়ানোর বিষয়টি সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুরগির মাংসের পদটির দাম শোনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিঠাট্টা করতে ছাড়ছেন না লোকজন। চীনের শানক্সি প্রদেশের একজন লিখেছেন, ‘আমার মুরগিগুলোর দাম কি ৩৪ হাজার টাকা (২৬০ ডলার) রাখতে পারব? আমি সেগুলোকে শানস্কি গান শুনিয়ে বড় করেছি।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘পণ্য বিক্রির জন্য আজগুবি গল্প ফাঁদা হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক