খুলনায় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর বানরগাতী আরামবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৩ পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক সদস্যসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনাস্থল থেকে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি পিস্তল, একটি কাটা বন্ধুকসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার আজম খান জানান, আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীরা বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকার আবদুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও যৌথবাহিনী। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এতে ৩ পুলিশ ও নৌবাহিনীর এক সদস্যও আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের খুলনা পুলিশ হাসপাতালে এবং আহত নৌবাহিনীর সদস্য খুলনা নেভি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশ, কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলাম, আরিফুল, ফজলে রাব্বি রাজন, লিয়ন শরীফ,  ইমরানুজ্জামান, ইমরান, রিপন, সৈকত রহমান, মহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ৩টি পিস্তল, একটি একনলা শর্টগান, একটি কাটা বন্ধুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ৭টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।

নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অপারেশন অফিসার এস আই আবদুল হাই বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পেছনে এবং পাশের পুকুরে অনেকগুলো অস্ত্র ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। যেগুলো উদ্ধারে সকালে পুকুরে তল্লাশি চালানো হবে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযান সমাপ্ত করা হয়। বাড়িটি ডিবি পুলিশের একটি দল ঘিরে রেখেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমতায় গেলে নারীদের মর্যাদা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: জামায়াত আমির

জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। ঢাকার পুরানা পল্টনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।

সমাবেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ায়, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নারীদের আর কোনো কাজ করতে দেবে না, ঘর থেকে বের হতে দেবে না। আমরা বোনদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী পছন্দের কর্মক্ষেত্রে কাজ করবেন।’ এখন দেশে নারীদের কোনো সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নেই, বলেন জামায়াতের আমির।

শ্রমিক দিবসের সমাবেশেশফিকুর রহমান বলেন, ‘মিল-ফ্যাক্টরির উদ্যোক্তারা (মালিকপক্ষ) সহকর্মী শ্রমিক-কর্মচারীদের উপযুক্ত মূল্যায়ন করেন না, তাঁদের শ্রমের মর্যাদা দেন না। এটি যেমন বাস্তবতা, আরেকটি বাস্তবতা হলো, তাঁরা নির্যাতনের শিকার হন চাঁদাবাজদের হাতে। চাঁদাবাজরা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন দিবস পালনের জন্য তাঁদের কাছে হাজির হয়। আমরা এটি চাই না।’

বাংলাদেশে কর্ম-উপযোগী ৭০ শতাংশ মানুষ শ্রমজীবী। তাঁদের উপেক্ষা করে কোনো সমাজ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না বলেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় যে টেকসই সমাজ গড়ার কথা বলছি, সে সমাজ আল্লাহর আইন ছাড়া কোনো কিছু দিয়েই গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’

ঢাকার পুরানা পল্টনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

সম্পর্কিত নিবন্ধ