মাদারীপুর শহরে গভীর রাতে পুড়ে গেছে ১৮টি দোকান
Published: 4th, April 2025 GMT
মাদারীপুর শহরে আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি দোকান ও একটি বসতঘর। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের পুরানবাজার এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুরানবাজার এলাকায় সৌরভ হার্ডওয়্যার নামের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর পেয়ে মাদারীপুর, কালকিনি ও টেকেরহাট ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাপড়, গার্মেন্টস, মেশিনারি, কসমেটিকসের অন্তত ১৮টি দোকান। এতে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শহীদ খান বলেন, ‘আগুনে আমার ঘরের অনেকটা পুড়ে গেছে। ঘরের সামনে থাকা ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই। রাত বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা কোনো মালামাল বের করতে পারেনি। দোকানের ভেতরে থাকা মালামাল কয়লা হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছে। সবকিছু শেষ!’
প্রত্যক্ষদর্শী বাঁধন খান বলেন, ‘প্রথমে আগুন দেখে আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল আসার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বাণিজ্যিক এলাকা পুরানবাজারে পানি সরবরাহ করতে দেরি হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। পুকুর-ডোবা ভরাট হওয়াই এর অন্যতম কারণ। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি দোকান ও একটি বসতঘর। আজ শুক্রবার সকালে মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক