প্রশাসনের আশ্বাসে ১১ ঘণ্টা পর খুলল চবির মূল ফটকের তালা
Published: 15th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ১১ ঘণ্টা পর মূল ফটকে লাগানো তালা খুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এরপর রাত পৌনে ১টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.
তিনি বলেন, “প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি ছিল- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ১ নম্বর গেইট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত চক্রাকার বাস চালু করা এবং সিএনজি চালকদের দৌরাত্ম কমানো।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমাদের এক শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এটি খুবই ন্যাক্কারজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। তারা মূল ফটকের তারা খুলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমাদেরই দাবি। আমরা দাবিগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করব।”
তিনি আরো বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। আগামী সমাবর্তনের আগে আপাতত অল্প পরিসরে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করব।”
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’
ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’