চট্টগ্রামে নালায় পড়ে এবার নিখোঁজ হয়েছে ছয় মাস বয়সী শিশু সেহলিজ। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কাপাসগোলার নবাব হোটেলের পাশের নালায় এই ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামে নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত বছরের জুনেও নালায় পড়ে স্রোতে তলিয়ে যায় সাত বছরের এক শিশু। 

২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মুরাদপুর মোড়ে বৃষ্টির মধ্যে খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। দীর্ঘ সময় উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তার মরদেহ পাওয়া যায়নি। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আগ্রাবাদ এলাকায় হাঁটার সময় নালায় পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া।

ষোলশহর এলাকায় ২০২২ সালে শিশু কামাল নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। তিন দিন পর মুরাদপুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়া এলাকায় দেড় বছর বয়সী শিশু ইয়াছিন আরাফাত নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ২০২৪ সালের জুনে গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় সাত বছরের শিশু সাইদুল ইসলাম নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন নাছির খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এবার মায়ের চোখের সামনে চট্টগ্রামের নালায় হারিয়ে গেল ছয় মাসের শিশুটি। তার বাঁচার আশা ক্ষীণ বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ।

নিখোঁজ শিশুটি সেহলিজের মা সালমা বেগম জানান, তারা কাপাসগোলায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে অটোরিকশা ঘোরাতে গিয়ে সেটি খালের মধ্যে পড়ে যায়।

জলাবদ্ধতা নিরসনের চলমান প্রকল্পের কারণে নালার পাশের নিরাপত্তাবেষ্টনী খুলে রাখা হয়েছিল। এ সময় চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে যায়। অটোরিকশায় ছিল শিশুটির মা ও দাদি। স্থানীয়দের সহায়তায় তারা দুজন নালা থেকে উঠতে পারলেও ছয় মাস বয়সী শিশুটি ভেসে গেছে পানির স্রোতে। ঘটনার পরপরই অটোরিকশাচালক পালিয়ে যান। 

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের চন্দনপুরা ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কাজ করছে সিভিল ডিফেন্স ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। কিন্তু রাত দুইটায় নিখোঁজের ৬ ঘণ্টা পরও শিশুটির কোনো খোঁজ পায়নি ডুবুরিরা। 

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার আবুল ফজল জানান, খালটি ‘হিজড়া খাল’ নামে পরিচিত। সেখানে আবর্জনার স্তূপ জমে থাকায় পানির স্রোত আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র মরদ হ এল ক য় বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশের তৈরি আসবাবপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশবান্ধব বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, দেশে কাঠের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে। এই চাপ কমাতে আসবাবপত্র তৈরিতে বাঁশকে বিকল্প হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে।

রোববার ঈদুল আজহার পর প্রথম কর্মদিবসে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি পরিবেশ রক্ষায় নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাঁশ সহজলভ্য, দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব। আধুনিক, টেকসই ও রুচিশীল বাঁশের আসবাবপত্র তৈরি করে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্রের উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং নতুন পণ্য উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব, অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ