কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় বন বিভাগ ও বিবিসিএফ ((Bangladesh Biodiversity Conservation Federation) এর যৌথ অভিযানে খাঁচাবন্দি ১৪টি দেশি পাখি উদ্ধার হয়েছে। পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি ঝুঁটি শালিক, ২টি দেশি টিয়া, ৬টি চন্দনা টিয়ার বাচ্চা, ৫টি দেশি ময়না। 

এসময় পাখি শিকারের ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে আটক বা জরিমানা করা হয়নি।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার পোড়াদহ বাজার সংলগ্ন বটতলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পোড়াদহ অঞ্চলের বিশিষ্ট পাখি ব্যবসায়ী কাউছার ভাই নামের এক পাখি ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে দেশি পাখি বিক্রি করে আসছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার কাউছার এর সাথে ক্রেতা সেজে ৬টি টিয়া এবং ময়না পাখির অর্ডার দেওয়া হয়। এরপর কাউছার শনিবার পোড়াদহ বটতলা এলাকায় আসতে বলে পাখি ডেলিভারি নিতে। সেখানে গেলে কাউছার না এসে নাসিম নামে তার একজন সহযোগীকে পাঠায়। নাসিম ১টি টিয়া ও ২টি ময়নার বাচ্চা বিক্রি করতে নিয়ে আসলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। 

এরপর পাখি ব্যবসায়ী কাউসারের বাড়ি এবং তার আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টিয়া, ময়না শালিকসহ মোট ১৪টি পাখি উদ্ধার করে বন বিভাগ ও বিবিসিএফ এর সদস্যরা।

অভিযানে কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল আলমের নির্দেশনায় ভেড়ামারা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, বিবিসিএফ‘র সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন মিলন, মিরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো.

জুয়েল আহমেদ, সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ, মীর কুশল, ডিপ ইকোলজি এন্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাফওয়ানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার সাগর, সহ-সভাপতি মেঘদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক, মাজহারুল ইসলাম, বন বিভাগের কাজি গোলাম মওলা, শামসুল হক, সুরুজ আলী,হাসান প্রমুখ অংশ নেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে

মাদারীপুরে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের টানে চীনের নাগরিক শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ে করে বর্তমানে মাদারীপুরে শশুরবাড়িতে আছেন। ভিনদেশি যুবককে দেখার জন্য ওই বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯)। সুমাইয়া মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা তিন বোন। সুমাইয়া বড়। মেঝ সাদিয়া আক্তার (১২) মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট বোন আরিফা (৬)। 

চীনের সাংহাই শহরের সি জিং নিং এর ছেলে শি তিয়ান জিং (২৬)। তারা দুই ভাই। বড় শি তিয়ান জিং। তার চীনের সাংহাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে। 

আরো পড়ুন:

‘একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারের বৌ হয়েছিল’

এক বিয়ের বরযাত্রী খেয়ে ফেলল অন্য বিয়ের খাবার

শি তিয়ান জিংকে টিকটকে দেখেন সুমাইয়া। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান হয়। উভয়ই গুগলের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান- প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মাত্র চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন শি তিয়ান জিং। এরপর এক দিন ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। ২৬ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেচরের সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন। 

সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও তার দুইজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে শি তিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন শি তিয়ান জিং। এরপর ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে মানুষ ভিড় করতে থাকে।  

সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘‘টিকটক দেখে আমি ওর ভক্ত হই। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা হয়। পরে দুজনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। মাত্র চার মাসের প্রেমের সূত্র ধরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমার কাছে চলে আসবে, তা কখনো ভাবিনি। ও প্লেনে উঠার সময় বলেছে, আমি বাংলাদেশে আসছি। আমি বিশ্বাস করিনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি।’’ 

সুমাইয়া আক্তার আরো বলেন, ‘‘ও ওর মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। তারাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন, আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন।’’ 

সুমাইয়া বলেন, ‘‘এরই মধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। শি তিয়ান জিং এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এর মধ্যে আমার কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে। আমিও চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ 

শি তিয়ান জিং বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে। তাই আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। আমার পরিবার সব জানে। তারাই সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যেতে বলেছেন।’’ 

সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘শি তিয়ান জিং আমাদের এখানে আছে। ও খুব ভালো ছেলে। খুবই অমায়িক। কোনো অহংকার নেই। এক মাস থাকবে এবং আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে। আমরা খুব খুশি।’’ 

পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল হাওলাদার জানান, প্রথমে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। পরে সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। চীনে ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছু দিনের মধ্যে সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যাবে। 

ঢাকা/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবারও হতাশায় ডুবিয়ে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
  • জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ভিপিএনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল
  • রূপ নয়, সাহস দিয়ে জয় করা এক নায়িকা
  • টানা দুই জয়ের পর এবার হার বাংলাদেশের যুবাদের
  • ভারতের অর্থনীতি মৃত, ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন: রাহুল
  • হেনরির ৬ উইকেটের পর দুই ওপেনারে নিউজিল্যান্ডের দিন
  • অসুখবিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না: ববিতা
  • নিশ্ছিদ্র দাপটে উরুগুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে ও অলিম্পিকে ব্রাজিল
  • যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
  • প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে