কুষ্টিয়ার পোড়াদহে যৌথ অভিযানে খাঁচাবন্দি ১৪টি দেশি পাখি উদ্ধার
Published: 20th, April 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় বন বিভাগ ও বিবিসিএফ ((Bangladesh Biodiversity Conservation Federation) এর যৌথ অভিযানে খাঁচাবন্দি ১৪টি দেশি পাখি উদ্ধার হয়েছে। পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে, একটি ঝুঁটি শালিক, ২টি দেশি টিয়া, ৬টি চন্দনা টিয়ার বাচ্চা, ৫টি দেশি ময়না।
এসময় পাখি শিকারের ফাঁদ ও খাঁচা জব্দ করা হয়। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে আটক বা জরিমানা করা হয়নি।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার পোড়াদহ বাজার সংলগ্ন বটতলা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পোড়াদহ অঞ্চলের বিশিষ্ট পাখি ব্যবসায়ী কাউছার ভাই নামের এক পাখি ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে দেশি পাখি বিক্রি করে আসছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার কাউছার এর সাথে ক্রেতা সেজে ৬টি টিয়া এবং ময়না পাখির অর্ডার দেওয়া হয়। এরপর কাউছার শনিবার পোড়াদহ বটতলা এলাকায় আসতে বলে পাখি ডেলিভারি নিতে। সেখানে গেলে কাউছার না এসে নাসিম নামে তার একজন সহযোগীকে পাঠায়। নাসিম ১টি টিয়া ও ২টি ময়নার বাচ্চা বিক্রি করতে নিয়ে আসলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এরপর পাখি ব্যবসায়ী কাউসারের বাড়ি এবং তার আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে টিয়া, ময়না শালিকসহ মোট ১৪টি পাখি উদ্ধার করে বন বিভাগ ও বিবিসিএফ এর সদস্যরা।
অভিযানে কুষ্টিয়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল আলমের নির্দেশনায় ভেড়ামারা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, বিবিসিএফ‘র সহ-সভাপতি শাহাব উদ্দিন মিলন, মিরপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত বন ব ভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।