ধর্ষণের দায়ে তরুণের যাবজ্জীবন, জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ
Published: 22nd, April 2025 GMT
নাটোরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের দায়ে মেহেদী হাসান (২৫) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মেহেদী হাসান গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা (পাঠানপাড়া) গ্রামের আবদুর রহিম শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, বিচারক আদালতে বসে শুরুতেই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ পড়ে আদালত জানান, আসামি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ঘটনার তারিখ ও সময়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশও দেন আদালত।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে গুরুদাসপুর উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ফোন করে বাড়ির বাইরে ডেকে নেন মেহেদী হাসান। পরে বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যান। স্বজনেরা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই দিনই ভুক্তভোগীর বাবা গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলার সরকারি কৌঁসুলি আবদুল কাদের বলেন, গতকাল সোমবার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে জামিনে থাকা আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ রায় ঘোষণা করে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’
সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বিদেশফেরত এক ব্যক্তি। জেলায় মসলাজাতীয় ফসল চুইঝালের সফল বাণিজ্যিক চাষ এটিই প্রথম। এই সফলতায় বর্তমানে এলাকার কৃষক, তরুণ ও যুবকেরা চুইঝাল চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলীর বড় ছেলে। প্রায় এক যুগ সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে গ্রামে ফিরে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।
সম্প্রতি এক দুপুরে শাহ আলমের চুইঝালের খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে ফসল উত্তোলন করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে সমূলে চুইঝাল গাছগুলো তুলে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা গিয়ে এসব চুইঝাল কিনে নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশে থাকা অবস্থাতেই ইউটিউবে খুলনা এলাকায় চুইঝাল চাষে কৃষকদের সফলতা দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে খুলনা এলাকায় চুইঝালের চারা উৎপাদকারী একটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর দেশে ফিরে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় উচ্চমূল্যের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) সহায়তায় চুইঝালের চাষ শুরু করি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বাড়ির পাশে ৩৩ শতক জমি ৩ বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে এগুলোর চাষ শুরু করা হয়।’
শাহ আলমের দাবি, চুইঝাল চাষ শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে চলতি বছর দুই ধাপে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার চুইঝাল বিক্রি করেছেন।
সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সফল হওয়ার দাবি করেছেন প্রবাসফেরত শাহ আলম