নেত্রকোনা পৌর শহরের জয়নগর এলাকায় ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার সহস্রাধিক গ্রাহক। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

নেত্রকোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অভিযোগকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা পলাশ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, শহরের ৭ নম্বর ফিডারের ট্রান্সফরমার গতকাল রাত তিনটার দিকে বিকল হয়ে যায়। এ কারণে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে। ফলে কিছুটা সময় লাগবে।

পিডিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা শহরে ১০টি ফিডারের আওতায় ৫৪ হাজার ৩২৫ জন গ্রাহক রয়েছেন। গতকাল রাত তিনটার দিকে ৭ নম্বর ফিডারে হঠাৎ ভোল্টেজ কমে যায়। প্রাথমিকভাবে কিছু সময় আংশিক বিদ্যুৎ থাকলেও কিছুক্ষণ পর পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন বাতি, পাখা, রেফ্রিজারেটর বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়নগর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিয়মিত বাসায় নেবুলাইজার ব্যবহার করি। বিদ্যুৎ না থাকায় সেটা ব্যবহার করতে পারছি না, শ্বাসকষ্টে ভুগছি।’

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গোসল, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না।’

নেত্রকোনা পিডিবি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে নতুন ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ চলছে। আশা করছি, শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ট র ন সফরম র ব ব দ য ৎ সরবর হ

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একটি তাজা গ্রেনেড পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৩ জুন) সেনাবাহিনীর একটি দল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। এর আগে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের জমি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাব্বির তার জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় একটি গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। বিশ্বম্ভরপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়, এটি একটি তাজা গ্রেনেড। শুক্রবার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, ‘‘গ্রেনেডটির মডেল হচ্ছে এম-৩৬। এটি ব্রিটিশ আমলে সরবরাহ করা হত। ১৯৭২ সালের পর আর এটি সরবরাহ করা হয়নি। এখানে গ্রেনেডটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোনোভাবে আসতে পারে। এটি মাটির নিচে একশ বছরের কমবেশি সময় সক্রিয় থাকতে পারে। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’’

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘‘এক কৃষক তার মরিচ ক্ষেতে গ্রেনেডটি দেখে আমাদের খবর দেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর অধিনায়ককে অবগত করি। শুক্রবার তারা গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করেছে।’’

ঢাকা/মনোয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপেয় পানির সংকট, কাজে আসছে না কোটি টাকার প্রকল্প
  • নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
  • সুপারম্যানের কাছে আছে পৃথিবীর শক্তি সংকটের সমাধান
  • ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে কী কী ঘটতে পারে?
  • ইরান–ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা রূপ নিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে
  • ইরানে হামলার আগে গোপনে ইসরায়েলে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • গজারিয়া নদীতে নেমে নিখোঁজ দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার
  • ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি কেন বাড়ছে
  • সুনামগঞ্জে তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের পর নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে বিএনপির ২ পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০