কুয়েটে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর
Published: 26th, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব থাকা ৪ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাত ৮টার দিকে ফুলবাড়িগেট বাস কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটে তাদের শরীরে বিভিন্ন ফুলে ও থেঁতলে গেছে। বর্তমানে তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন- মুজাহিদুল ইসলাম, মো.
আহত শিক্ষার্থী গালিম রাহাত জানান, সন্ধ্যার পর ঘুরতে ঘুরতে তারা ফুলবাড়িগেট মোড় যান। ৮টার দিকে তারা শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮ থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে।
আহত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মারধরের সময় কয়েকজন ‘ভিসিকে বাপ ডাক’ বলে গালিগালাজ করে।
নগরীর ফুলবাড়িগেট থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, প্রাথমিক ঘটনা শুনে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম নামিয়েছি। আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”
শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ
কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/রফিক