খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব থাকা ৪ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার রাত ৮টার দিকে ফুলবাড়িগেট বাস কাউন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটে তাদের শরীরে বিভিন্ন ফুলে ও থেঁতলে গেছে। বর্তমানে তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

আহতরা হলেন- মুজাহিদুল ইসলাম, মো.

ওয়বাদুল্লাহ, গালিব রাহাত ও মোহন।

আহত শিক্ষার্থী গালিম রাহাত জানান, সন্ধ্যার পর ঘুরতে ঘুরতে তারা ফুলবাড়িগেট মোড় যান। ৮টার দিকে তারা শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৮ থেকে ১০ জন দুর্বৃত্ত লাঠি, স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে।

আহত আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মারধরের সময় কয়েকজন ‘ভিসিকে বাপ ডাক’ বলে গালিগালাজ করে।

নগরীর ফুলবাড়িগেট থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, প্রাথমিক ঘটনা শুনে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম নামিয়েছি। আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।

মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।

ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।

এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ