ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই নারীসহ তিনজনকে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোকন হোসেন ও রিংকু বড়ুয়া, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও মুজিবুর রহমান। তাঁদের ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন জয়নাল আবদীন (২০), রুজিনা আক্তার (৩২) ও মোসাম্মৎ রূপধন (৪৮)। তাঁরা জয়নগর গ্রামেরই বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, রাতে ওই এলাকায় মোহাম্মদ আলমগীর নামের এক মাদক কারবারিকে ধরতে তারা অভিযান চালায়। আলমগীরকে আটক করা হলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় আহত এসআই তানভীর মেহেদী বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় মুঠোফোন চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা

পাবনায় মুঠোফোন চুরির অভিযোগ তুলে রাসেল হোসেন (৩১) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে জেলা সদরের জাফরাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাসেল এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে জাফরাবাদ গ্রামের মো. আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে তাঁর ছেলে মকবুল হোসেনের একটি মুঠোফোন চুরি হয়। ফোন চুরির অভিযোগ ওঠে রাসেলের বিরুদ্ধে। পরে আবদুল্লাহর প্রতিবেশী তানজিল হোসেন তাঁকে (রাসল) ফোনটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রাসেলের সঙ্গে তানজিলের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে তানজিলের হাতে কোপ দেন। এতে তানজিলের তিনটি আঙুল কেটে যায়। পরে রাত ১২টার দিকে তানজিলের লোকজন গিয়ে রাসেলের বাড়িতে হামলা করে তাঁকে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। রাতেই স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাসেলের বোন অঞ্জনা খাতুন বলেন, তাঁর ভাই মুঠোফোন চুরি করেননি। অন্য কোনো কারণে তাঁর ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ভাই হত্যার বিচার চান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে আগেও কয়েকটি চুরির অভিযোগ আছে। এ জন্য আবদুল্লাহর বাড়ি থেকে ফোনটি চুরির অভিযোগ রাসেলের বিরুদ্ধে ওঠে। চুরির একটি ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে। চুরির পর উল্টো রাসেল তানজিলকে কুপিয়ে আহত করায় গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করেন। এতে তিনি মারা যান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তানজিল, আফরোজা ও খাদিজা নামের তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতের বাবা একটি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
  • নরসিংদীতে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে কলেজছাত্র নিহত
  • পাবনায় মুঠোফোন চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা
  • গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ৩ বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২
  • গোপালগঞ্জে ৬ যানবাহনের সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২
  • রেললাইনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন মুঠোফোনে, ট্রেনে কাটা পড়ে চা–শ্রমিকের মৃত্যু
  • গজারিয়া নদীতে নেমে নিখোঁজ দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার
  • ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে হামলা: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টর্চলাইট জ্বালিয়ে বিএনপির ২ পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০