সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না: ফরহাদ মজহার
Published: 2nd, May 2025 GMT
বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কবি ফরহাদ মজহার বলেছেন, “আমাদের আমূল সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না। যে নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনো দেশে বিদ্যামান রয়েছে সেটি শেখ হাসিনার। এই ফ্যাসিস্টের নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাতিল করেই তো নির্বাচনে যেতে হবে। রাষ্ট্র গঠন এবং নির্বাচন দুটি দুই বিষয়।”
শুক্রবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদ মাজহার বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর প্রত্যেক তরুণকে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার ছিল। একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলা আমাদের প্রথম কাজ ছিল। বাংলাদেশকে রক্ষা করা আমাদের সবার কাজ। আগে দেশকে নিয়ে ভাবেন। আপাতত নির্বাচন বাদ দিন। প্রথমে দেশ গঠন, তারপর নির্বাচন নিয়ে ভাবুন।”
তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্র সংস্কার করতে হবে। জনগণের অধিকার অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার, সংবিধান সংস্কার, নতুন গঠনতন্ত্র করে নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনো সজাগ আছে। আমাদেরও সজাগ থাকতে হবে বাংলাদেশের জন্য।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ মজহার বলেন, “কিছু বিষয় নিয়ে জনগণকে আগামীতে সচেতন করতে হবে। আমরা যে নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, সেখানে কোনো ব্যক্তির অধিকার বা মর্যাদা হরণ করা যাবে না। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের কথা বলিনি, জনগণের সার্বভৌমত্বের কথা বলেছি। রাষ্ট্রের এমন কোনো অধিকার নেই, যখন তখন যাকে তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর পরই আমরা যে সরকারকে কায়েম করেছি, এই সরকারের দায়িত্ব ছিল জনগণের কাছে যাওয়া। তারা এটা করলেন না। তারা করলেন কি, উপর থেকে অনেকগুলো কমিশন বসিয়ে দিলেন। এবার আসুন আগে বাংলাদেশ গঠন করি।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নদী গবেষক মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, কবি ও সংগঠক মো.
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফরহ দ ম আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব