প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদি না করে মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে কোনও রাজনৈতিক চাপ আসলে সেটি মোকাবেলা করতে হবে, তোষামোদি করা যাবে না। শক্ত ও কঠিন পদক্ষেপের বিষয়ে সরকার সহযোগিতা করবে।
শুক্রবার সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জমির টপ সয়েল রক্ষায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ফসলি জমির টপ সয়েল কাটা ও বিক্রি এবং ভূমিদস্যুদের কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে বাজার অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনেরও নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্পর্কে এ পর্যালোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড.
পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে পুরোনো কাঠামো পরিবর্তন করা না গেলে আবারও স্বৈরাচার ফিরবে। চেষ্টা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা করে মতপার্থক্য দূর করে একটা জাতীয় সনদ প্রণয়নে। যার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্ব পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান প্রমুখ। এসময় কুমিল্লার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী