ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারের ইঞ্জিনে আগুনের স্ফুলিঙ্গ, জরুরি অবতরণ
Published: 20th, May 2025 GMT
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিনে স্পার্ক (আগুনের স্ফুলিঙ্গ) দেখা দিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে। ফ্লাইটে থাকা ২৯০ জন যাত্রীর সবাইকে নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীর সবাইকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট এর একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করেন।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের ঘটনা ঘটতে পারে। তখন পাইলট তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে বিমানবন্দরে ফিরে আসেন। যাত্রীরা নিরাপদ আছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের প্লেন থেকে অফলোড করা হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা (বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার) খুলে নিচে পড়ে যায়। তবে ফ্লাইটটি পাইলটের দক্ষতায় নিরাপদে অবতরণে সক্ষম হয়। ফ্লাইটে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ইলট
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা’ চিরকুট লিখে আত্মহত্যা
চিরকুট নোট লিখে ধ্রুবজিৎ কর্মকার (২২) নামে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসআই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আজ রোববার দুপুরে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
চিরকুটে ধ্রুবজিৎ কর্মকার লেখেন, ‘সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ব্যাংকের কার্ডের টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। পরের বার ফার্মেসি নিয়ে পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।’
জানা যায়, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকারের ছেলে ধ্রুবজিৎ।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোববার পরীক্ষা চলাকালীন ধ্রুবজিৎ নকলসহ ধরা পড়ে। কর্তব্যরত শিক্ষকরা তাৎক্ষণিকভাবে তার খাতা নিয়ে তাকে হল থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পরপরই হোস্টেলের নিজ কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে ধ্রুবজিৎ। বিষয়টি জানার পরপরই উদ্ধার করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ধ্রুবজিৎ এর পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ৈ সমকালকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।