গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া অর্থ পরিশোধের দাবিতে শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করেছে। এতে অন্তত ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন। 

শ্রমিক ও পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিন্স লিমিটেডের শ্রমিকরা সার্ভিস বোনাসসহ অন্যান্য পাওনা অর্থ দেওয়ার দাবিতে সকালে বিক্ষোভ করেন৷ এর একপর্যায়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ পরে পুলিশ এসে টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে শ্রমিকদের ছাত্রভঙ্গ করে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। 

মাহমুদ জিন্স লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, তাদের কারখানা গত বছরের ১০ অক্টোবর স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধ হওয়ায় প্রায় ২ হাজার শ্রমিকের কিছু পাওনা বকেয়া আছে। তা সরকারিভাবে নিষ্পত্তি করা হবে৷ 

মাহমুদ জিন্স লিমিটেডের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপক আবু তালেব বলেছেন, শ্রম আইন অনুয়ায়ী গত ১০ অক্টোবর আমাদের কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনা নিষ্পত্তি হবে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কারখানা কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। 

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেছেন, শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করলে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ