৪০ মণের ‘যুবরাজ’কে ঘরের বাইরে নিতে হবে দেয়াল ভেঙে
Published: 30th, May 2025 GMT
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামারিরা যখন ব্যস্ত তাদের সেরা পশু প্রস্তুত করতে, তখন পঞ্চগড়ে আলোচনায় এসেছে বিশালাকৃতির একটি ষাঁড়। এর নাম রাখা হয়েছে ‘যুবরাজ’। নাম যেমন রাজকীয়, আকৃতিও তেমনই বিশাল। তার ওজন প্রায় ৪০ মণ, দৈর্ঘ্য ১১ ফুট আর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি।
শুধু ওজন বা আকার নয়, যুবরাজকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের কৌতূহলের বড় কারণ হলো—তাকে ঘরের দরজা দিয়ে বের করা যাবে না, ভাঙতে হবে দেয়াল। গরুটি জন্ম থেকে বেড়ে উঠেছে একটি ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে। কখনো বাইরে যায়নি। বিশাল আকৃতি হওয়ার কারণে এবার তাকে কোরবানির হাটে নিতে হলে দেয়াল ভেঙেই বের করতে হবে।
পঞ্চগড় পৌর শহরের কাগজিয়া পাড়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কাশেম আবু এবং তার স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন চার বছর ধরে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন যুবরাজকে।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন হাজার টাকার খাবার খায় ১১০০ কেজির ‘জেট ব্ল্যাক’
দিনাজপুরে প্রস্তুত ৪ লাখ কোরবানির পশু
তারা জানিয়েছেন, যুবরাজকে প্রতিদিন দুইবার গোসল এবং ১৫ কেজির বেশি খাবার দিতে হয়। এর মধ্যে আছে- ধানের কুঁড়া, খৈল, ছোলার ভুসি, খড়, ঘাস ও লবণ। এত যত্নে ও ভালোবাসায় গড়া ষাঁড়টি তাদের কাছে শুধু একটা পশু নয়, যেন পরিবারের এক সদস্য।
এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্যই যুবরাজকে প্রস্তুত করেছেন আবুল কাশেম। যুবরাজের দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।
আবুল কাশেম বলেছেন, ওকে (যুবরাজ) বিক্রি করতে মন চায় না। তবে, বাস্তবতা অন্য কথা বলে। চার বছর ধরে নিজের হাতে খাইয়ে বড় করেছি। রাসায়নিক কিছু দিইনি, পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে বড় করেছি।
প্রায় সাত বছর আগে একটি গাভি কিনে শুরু হয়েছিল আবুল কাশেমের গরু পালন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিণত হয়েছে ২৮টি গরুর সফল খামারে। আবুল কাশেম নিজে গোয়ালঘরে সময় দেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। পরিচর্যা, খাওয়ানো, চিকিৎসা—সবই করেন নিজ হাতে।
আবুল কাশেমের স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন বলেছেন, বাড়িতে পালন করা একটি গাভি থেকে চার বছর আগে এই বাছুর পেয়েছিলাম। ঘরের ভেতরেই জন্ম। ওর যত্ন করেছি সন্তানের মতো। জন্মের সময় থেকেই বাছুরটির শারীরিক গঠন ভালো ছিল। কোনোদিন বাইরে বের হয়নি। এখন দরজা দিয়ে আর বের হয় না। কষ্ট হলেও দেয়াল ভেঙে বের করতে হবে।
প্রতিবেশী শফিজ উদ্দীন বলেন, কাশেম অনেক যত্নবান। পশুগুলোকে তিনি সন্তানের মতো দেখেন। খামারটাও খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। যুবরাজকে বিক্রি করে ভালো দাম পেলেই তার কষ্ট স্বার্থক হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো.
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে প্রায় ২৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থেকে যেতে পারে। এসব পশু দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে।
মো. বাবুল হোসেন বলেন, কাগজিয়া পাড়ার যুবরাজ সর্বোচ্চ সুঠাম দেহের অধিকারি। আশা করছি, কোরবানির পশুর হাটে যুবরাজ ষাঁড়ের মালিক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট প রস ত ত ক রব ন র য বর জ
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস
চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।
জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।
এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।
ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী