ছয় বছরের জন্য লিভারপুলের ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে চুক্তিবদ্ধ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই চুক্তি অনুযায়ী ২০৩১ সাল পর্যন্ত রিয়ালে থাকবেন তিনি।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলারের লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে ছিল। তবে রিয়াল তাকে আগেভাগেই কিনে নিচ্ছে যেন তিনি আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

এই ফুলব্যাক লিভারপুলের একাডেমি থেকেই উঠে এসেছিলেন এবং ২০১৯ সালে ক্লাবটির হয়ে জিতেছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। ২০২০ সালে জিতেছিলেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও। ক্লাবটির হয়ে তার ম্যাচ সংখ্যা ৩৫২।

আরো পড়ুন:

রিয়ালে এবার ‘১০’ নম্বরে এমবাপ্পে!

আলোনসোর প্রত্যাবর্তন
খেলোয়াড় থেকে কিংবদন্তি কোচ হয়ে রিয়ালের ডাগআউটে

রিয়াল মাদ্রিদে গিয়ে আর্নল্ড আবার একসঙ্গে হবেন আরেক সাবেক লিভারপুল তারকা জাবি আলোনসোর সঙ্গে। যিনি সদ্যই কার্লো আনচেলত্তির জায়গায় রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন।

লিভারপুলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক থাকার কারণে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণাটি অনেক সমর্থকের কাছে ছিল দুঃখজনক। মৌসুমের শেষের দিককার এক ম্যাচে তাকে কিছু ভক্তদের কাছ থেকে দুয়োও শুনতে হয়। তবে ক্লাবের সাবেক কোচ ইউরগেন ক্লপ ও সতীর্থ মোহাম্মদ সালাহর মতো ব্যক্তিত্বরা ভক্তদের আহ্বান জানান ট্রেন্টের অবদানের কথা মনে রাখতে। যিনি গত ছয় বছরে ক্লাবটির সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

ফলে মৌসুমের শেষ ম্যাচে, যখন তিনি অ্যানফিল্ডে প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি হাতে তোলেন, তখন গোটা স্টেডিয়াম তাকে করতালি দিয়ে সম্মান জানায়।

আর্নল্ড এমন সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ দলে যোগ দিচ্ছেন যখন তারা চলতি মৌসুমে কোনো বড় ট্রফি জিততে পারেনি।

তার রক্ষণভাগের ফোকাস নিয়ে মাঝে মাঝে সমালোচনা হলেও, ডান উইং থেকে তার অসাধারণ পাসিং ও আক্রমণাত্মক খেলার দক্ষতা তাকে আলাদা করেছে।

রিয়াল মাদ্রিদ এই মৌসুমে ডানপাশের রক্ষণে বেশ ভুগেছে। দানি কারভাহাল লম্বা সময় চোটে ভোগার পর ফিট হলেও পুরোদমে খেলতে পারেননি। আর উইঙ্গার লুকাস ভাসকেজকে বিকল্প হিসেবে খেলানো হলেও স্বাভাবিক পজিশনে না খেলায় তিনি সমস্যায় পড়েছেন।

আগামী ১৮ জুন মায়ামিতে ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি ক্লাব আল-হিলালের বিপক্ষে রিয়ালের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে আর্নল্ডের।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রেখেছে: ছাত্রশিবির

ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র‌্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে। 
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। 

শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ