গত ইদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের ‘বরবাদ’, সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’, আফরান নিশোর ‘দাগি’, এবং মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’  যারা দেখতে পারেননি তাদের সুখবর।  এবার একসঙ্গে ছবিগুলো মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওটিটিতে।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তিওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে ছবিগুলো। চার সিনেমা নিয়ে চরকির এই আয়োজনের নাম দেয়া হয়েছে ‘বিরাট গুরুর হাট’ পাওয়ার্ড বাই গ্রামীণফোন।

রোজার ঈদের তুমুল আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয় তার পরিচালিত প্রথম সিনেমাতেই করেছেন বাজিমাত। এ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় নতুন অবতারে হাজির হন শাকিব খান।

প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, “বরবাদ’ ব্যবসা সফল একটি সিনেমা।  দেশ-বিদেশের অনেক মানুষ বরবাদ দেখেছেন, আবার অনেকে এখনও দেখার  সুযোগ পাননি। তারা এখন সিনেমাটি দেখার সুযোগ পাবেন ওটিটিতে।”

‘দাগি’ সিনেমার মাধ্যমে রোজার ঈদে বড় পর্দা কাঁপিয়েছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন এবং জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। আলোচিত সিনেমাটি কোরবানি ঈদে ওটিটিতে দেখতে পারবেন দর্শকরা।

আফরান নিশো এ বিষয়ে বলেন, “এই ঈদে সিনেমা হলের আনন্দ হবে ঘরে  বসেই। ‘দাগি’ আসছে চরকিতে। পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই দেখুন সিনেমাটি।”

 ‘দাগি’ সিনেমার পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমার  সিনেমাটি চরকির দর্শক পছন্দ করবে। অনেকেই যারা সিনেমাটি দেখতে পারেননি, তারা দেখার সুযোগ পাবেন এবং আমার আশা দর্শকদের ভালো লাগবে।’

রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের কাঁদিয়েছে ‘জংলি’। পর্দায় জনি ও পাখির সম্পর্কের রসায়ন দর্শকদের নিয়ে গেছে এক ইমোশনাল রোলারকোস্টারে।

অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, “অনেক বছর পর পরিবার নিয়ে দেখার মতো  একটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে। আমরা পুরোপুরি কমার্শিয়াল প্যাকেজিংয়ে ‘জংলি’  বানিয়েছি। সাধারণত ঈদের ছুটিতে সবাই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, আনন্দ করেন। সেই আনন্দে এবার যুক্ত হতে পারে ‘জংলি’। আমার বিশ্বাস সিনেমাটি সবাইকে নতুন ভাবনার খোরাক দেবে। পারিবারিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে সিনেমাটি।”

সম্পর্ক, নানা জটিলতা আর রহস্যে ঘেরা সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’। শরাফ আহমেদ জীবন পরিচালিত সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। মইনুল নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, “থ্রিলার ঘরানার সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’।  এখানে গল্প, রহস্য আর অভিনয় দারুণভাবে মিশে গেছে। দেশ-বিদেশে মোশাররফ  করিমের ভক্তরা সিনেমাটি দেখার জন্য অপেক্ষা করেছেন। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে জানানোর চেষ্টা করেছেন সিনেমাটি দেখার আগ্রহের কথা। এবার আমি বলতে পারছি,

উল্লেখ্য, সিনেমা চারটি মুক্তির তারিখ শিগগিরই জানানো হবে চরকির ফেসবুক পেজে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র স ন ম র জ র ঈদ কর ছ ন আহম দ বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

মাসিক না হওয়ার কারণ

মেনোপজের আগে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ

গর্ভধারণ ও স্তন্যদান।

জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল কিংবা অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহার।

অতিরিক্ত কম বা বেশি ওজন, অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম কিংবা অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি কিংবা আধিক্য, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কিংবা অন্য যেসব রোগের কারণে হরমোনের তারতম্য হয়।

ডিম্বাশয়ের টিউমার কিংবা ডিম্বাশয় বা জরায়ুতে কোনো অস্ত্রোপচার।

উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালার্জি, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ।
কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি।

ডিঅ্যান্ডসির (ডায়ালেশন ও কিউরেটেজ নামের একটি অস্ত্রোপচারপদ্ধতি) মাধ্যমে গর্ভপাত।

আরও পড়ুনমাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয় কেন? ২৩ এপ্রিল ২০২৫কৈশোরে মাসিক শুরু না হওয়ার কারণ

নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছেও যাঁর মাসিক শুরু হয়নি, তাঁর জন্য কারণটা হতে পারে জিনগত। নারীর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে যেসব গ্রন্থি, সেসবের অস্বাভবিকতাও থাকতে পারে কারও কারও ক্ষেত্রে। যোনিপথ বা অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের গঠনগত ত্রুটিও থাকতে পারে।

কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক

দু–এক মাস যদি মাসিক না হয়, তাতে ভয়ের কিছু নেই। কত দিন মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক, অর্থাৎ কখন নেবেন চিকিৎসকের পরামর্শ, জেনে নেওয়া যাক।

১৪ বছর বয়সে পৌঁছেও যদি কারও মাসিক শুরু না হয় এবং বয়ঃসন্ধির অন্য কোনো চিহ্নও না দেখা যায়।

বয়ঃসন্ধির অন্যান্য চিহ্ন থাকলে অবশ্য ১৬ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ১৬ বছরে পৌঁছে মাসিক না হলে বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।

যাঁর নিয়মিত মাসিক হয়, তাঁর যদি অন্তত তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকে, তাহলে সেটির কারণ খুঁজতে হবে।

যাঁর মাসিক অনিয়মিত, তাঁর ক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস মাসিক বন্ধ থাকলে সেটিকে অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ হওয়া বলে ধরে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঅনিয়মিত মাসিক কেন হয়২৫ জুলাই ২০২৩যদি থাকে অস্বাভাবিকতা

একজন নারীর সুস্থতার জন্য নিয়মিত মাসিক হওয়া খুবই জরুরি। যদি মাসিকে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অস্বাভাবিকভাবে মাসিক বন্ধ থাকে কিংবা অনিয়মিত মাসিক হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণটা খুঁজে বের করবেন। সে অনুযায়ীই হবে চিকিৎসা।

কারও মাসিক বন্ধ থাকার চিকিৎসার ক্ষেত্রে জীবনধারার পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রয়োজন হরমোন থেরাপি। অল্প কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

আরও পড়ুনমেয়েকে মাসিক সম্পর্কে কীভাবে জানাবেন০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ