ফরিদপুরে খালের ওপর ধসে পড়ল সেতু, যান চলাচল বন্ধ
Published: 4th, June 2025 GMT
ফরিদপুরের সালথায় অতিবৃষ্টির কারণে খালের ওপর একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সালথা-মুন্তারমোড় সড়কের উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া ইজারাপাড়া এলাকায় সড়কসহ সেতু ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। এর ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।
বিশেষ করে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এভাবে সড়কসেতু ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। সেতুটি ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ গ্রামের বাসিন্দাদের ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরে সালথা উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরে আসতে হচ্ছে।
ইউসুফদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে ইজারাপাড়ার খালের ওপর থাকা সেতুটির এক পাশের সড়কের বিশাল অংশ ভেঙে যায়। মঙ্গলবার সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। ২৫ বছর আগে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তুগোলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস মোল্লা বলেন, সড়কসহ সেতুটি ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫টি গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা এ পথ ও সেতু দিয়ে জেলা-উপজেলা শহর ও স্থানীয় হাটবাজারে যাতায়াত করে থাকেন।
স্থানীয় ভ্যানচালক আবদুর রহমান বলেন, ‘ওই সড়ক দিয়ে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভ্যান চালাতে পারছি না। এখন অন্য এলাকায় গিয়ে ভ্যান চালাতে হবে।’
অতিবৃষ্টির কারণে মাটি ধসে সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়েছে বলে জানান ভাওয়াল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু মোল্লা। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হেঁটেও ওই জায়গা পার হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না।
বৃষ্টির কারণে সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছেন জানিয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাব। দ্রুতই সড়কসেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে খালের ওপর ধসে পড়ল সেতু, যান চলাচল বন্ধ
ফরিদপুরের সালথায় অতিবৃষ্টির কারণে খালের ওপর একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সালথা-মুন্তারমোড় সড়কের উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া ইজারাপাড়া এলাকায় সড়কসহ সেতু ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। এর ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।
বিশেষ করে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এভাবে সড়কসেতু ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। সেতুটি ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ গ্রামের বাসিন্দাদের ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরে সালথা উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরে আসতে হচ্ছে।
ইউসুফদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে ইজারাপাড়ার খালের ওপর থাকা সেতুটির এক পাশের সড়কের বিশাল অংশ ভেঙে যায়। মঙ্গলবার সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। ২৫ বছর আগে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তুগোলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস মোল্লা বলেন, সড়কসহ সেতুটি ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫টি গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা এ পথ ও সেতু দিয়ে জেলা-উপজেলা শহর ও স্থানীয় হাটবাজারে যাতায়াত করে থাকেন।
স্থানীয় ভ্যানচালক আবদুর রহমান বলেন, ‘ওই সড়ক দিয়ে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভ্যান চালাতে পারছি না। এখন অন্য এলাকায় গিয়ে ভ্যান চালাতে হবে।’
অতিবৃষ্টির কারণে মাটি ধসে সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়েছে বলে জানান ভাওয়াল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু মোল্লা। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হেঁটেও ওই জায়গা পার হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না।
বৃষ্টির কারণে সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছেন জানিয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাব। দ্রুতই সড়কসেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।