ফরিদপুরের সালথায় অতিবৃষ্টির কারণে খালের ওপর একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সালথা-মুন্তারমোড় সড়কের উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া ইজারাপাড়া এলাকায় সড়কসহ সেতু ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। এর ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।

বিশেষ করে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এভাবে সড়কসেতু ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। সেতুটি ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ গ্রামের বাসিন্দাদের ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ ঘুরে সালথা উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরে আসতে হচ্ছে।

ইউসুফদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে ইজারাপাড়ার খালের ওপর থাকা সেতুটির এক পাশের সড়কের বিশাল অংশ ভেঙে যায়। মঙ্গলবার সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। ২৫ বছর আগে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ার পর থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমনকি হেঁটেও চলাচল করতে পারছে না সাধারণ মানুষ। তুগোলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কুদ্দুস মোল্লা বলেন, সড়কসহ সেতুটি ভেঙে পড়ায় অন্তত ১৫টি গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা এ পথ ও সেতু দিয়ে জেলা-উপজেলা শহর ও স্থানীয় হাটবাজারে যাতায়াত করে থাকেন।

স্থানীয় ভ্যানচালক আবদুর রহমান বলেন, ‘ওই সড়ক দিয়ে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। কিন্তু সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভ্যান চালাতে পারছি না। এখন অন্য এলাকায় গিয়ে ভ্যান চালাতে হবে।’

অতিবৃষ্টির কারণে মাটি ধসে সড়ক ও সেতু ভেঙে পড়েছে বলে জানান ভাওয়াল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু মোল্লা। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হেঁটেও ওই জায়গা পার হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না।

বৃষ্টির কারণে সড়ক ও সেতুটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছেন জানিয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাব। দ্রুতই সড়কসেতু মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক ও স ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ