সেতু দেবে আখাউড়া-কসবা সড়কে যান চলাচল বন্ধ
Published: 5th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার মোগড়া এলাকায় আখাউড়া-কসবা সড়কের কাকিনা খালের ওপরের সেতু মধ্যরাতে মাঝ বরাবর দেবে গেছে। এতে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির মাঝখানে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশের দুই পাশে রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর দুই পাশে সড়কের সংযোগেও ফাটল ধরেছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে দুর্ঘটনা এড়াতে জনস্বার্থে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেতুটি পরিদর্শন করেছেন।
আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) বলছে কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। তবে ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, সেতুর নির্মাণ সাল ও নির্মাণ ব্যয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কাউছার চৌধুরী বলেন, রাতে কোনো এক সময় হয়ত ভারী কোনো গাড়ি চলাচলের জন্য সেতুর মাঝ বরাবর পিলার দেবে গেছে। এই পথে বহু মানুষের যাতায়াত। সেতুটি দেবে যাওয়ার ফলে আখাউড়া-কসবাসহ উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
সেতুর পাশে হানিফ মিয়া নামে বাঁশ ব্যবসায়ী বলেন, ফজরের নামাজের পর এসে দেখি সেতুর এই অবস্থা। পরে বেলা ১১টার পর প্রশাসনের লোকজন এসে সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আক্তার মিয়া বলেন, কাকিনা সেতুর মাঝের অংশ দেবে যাওয়ায় সকাল থেকে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। এতে করে প্রায় ৫-৮ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি তার।
উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, কাকিনা সেতুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে নতুন সেতুর জন্য কাগজপত্র পাঠাবো। আপাতত কী করবো, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম বলেন, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সংযোগ কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতু দেবে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় জনস্বার্থে যানচলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মনিয়ন্দ এলাকায় যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রাম আর কসবা যাতায়াতের জন্য ধরখার সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। ঈদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় কসব র জন য উপজ ল র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে দরজায় কড়া...
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেছেন অনেক বলিউড অভিনেত্রী। কেউ বলেছেন ছোট শহর থেকে মুম্বাইয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম নিয়ে, কেউ আবার বলেছেন সিনেমা পরিবারের বাইরে থেকে এসে বলিউডে জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে। এবার নিজে নিজেই হিন্দি সিনেমায় জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল দ্য অফিশিয়াল পিপল অব ইন্ডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন দিয়া মির্জা। সেখানে তিনি বলিউডে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের নানা ঘটনা নিয়ে কথা বলেন ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনমনে হচ্ছে মা হওয়ার বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন...১১ মে ২০২৫২০০০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট ওঠে দিয়া মির্জার মাথায়। এরপর ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তিনি একজন ‘বহিরাগত’ হয়েও হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন। কোনো সমর্থন ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা নিয়ে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিয়া বলেন, ‘এটা বলতে গেলে আমাকে এ বিষয়ে একটি বই লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর অনেক জটিল, এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি কঠিন এবং ভয়ংকর ছিল।’
দিয়া জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের মধ্যরাতে দরজায় কড়া নাড়ার মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি নিজের হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করতেন। দিয়া বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের এড়াতে আমি বহু বছর আমার হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে থেকেছি। এটি আমার জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। পেছন ফিরে তাকালে আমার মনে হয়, কীভাবে আমি সেই সময় পার করেছি!’
দিয়া মির্জা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে