জনপ্রিয় চিত্র নায়ক শাকিব খানের আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’ পাইরেসির মুলহোতা টিপু সুলতানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

বুধবার (১৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। 

এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জেলা শহর মাইজদীর মোহাম্মদিয়া হোটেলসংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার টিপু সুলতান নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টিপু সুলতান তাণ্ডব সিনেমাটি পাইরেসি করে বেআইনিভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে পুরো সিনেমার এইচডি কপি ছড়িয়ে দেয়। 

পরে সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিয়ার করিম ভুঁইয়া ওরফে শাহরিয়ার শাকিল ঢাকার বনানী থানায় কপিরাইট আইনের টিপুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালী ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, “টিপু পাইরেসির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে ঢাকায় পাঠানো হবে। বনানী থানা তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

ঢাকা/সুজন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার মৃত্যুদণ্ড, সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানা আদা

চার বছর আগে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবা মো. মোতাহারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মোতাহারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে জরিমানা আদায় করে ভিকটিমকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার আগে মোতাহারকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

ভিকটিম তার মা ও সৎ বাবার সঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বাস করত। পৃথক ঘরের ব্যবস্থা না থাকায় তারা একত্রে থাকত। মোতাহার ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিত। ২০২১ সালের ২০ জুন রাতে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় মোতাহার। এজন্য কাউকে কিছু জানায়নি ভিকটিম। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। ভিকটিম পরদিন বিষয়টি তার মাকে জানায়। ঘটনা শুনে তার মা ও সৎ বাবা তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ভিকটিম তার বাবার কাছে চলে যায়। ২৪ সেপ্টেম্বর ভিকটিম বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট থানার এসআই আবুল হাসান মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৭ মে মোতাহারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ