মায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েও শেষ রক্ষা হলো না, কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 18th, June 2025 GMT
ক্ষেতের ধান গরু খেয়েছে অভিযোগ তুলে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এরপরও মায়ের হয়ে ক্ষমা চায় কিশোরে ছেলে। তবুও শেষ রক্ষা হলো না ১৭ বছরের ওই কিশোরের। মাকে মারধরের পর ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী আরোফ মৃধা।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে পাবনার আমিনপুর থানার রামকান্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী আরোফ মৃধার ক্ষেতের ধান খায় গরু। সেই গরু আশিকের মায়ের এমন অভিযোগ তুলে তার মাকে বেধড়ক মারধর করেন আরোফ মৃধা। পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মাকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীদের কাছ যায় কিশোর ছেলে আশিক। মায়ের হয়ে ক্ষমাও চায় সে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে আশিককেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কাশিনাথপুর এবং পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মারা যায় আশিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, আশিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে ছয়জনের নামে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন প ট য় হত য
এছাড়াও পড়ুন:
মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”
এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।
ঢাকা/এমআর/মেহেদী