ক্ষেতের ধান গরু খেয়েছে অভিযোগ তুলে এক নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এরপরও মায়ের হয়ে ক্ষমা চায় কিশোরে ছেলে। তবুও শেষ রক্ষা হলো না ১৭ বছরের ওই কিশোরের। মাকে মারধরের পর ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশী আরোফ মৃধা।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে পাবনার আমিনপুর থানার রামকান্তপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো.

আশিক মণ্ডল (১৭) রামকান্তপুর গ্রামের মো. হন্তেশ মণ্ডলের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী আরোফ মৃধার ক্ষেতের ধান খায় গরু। সেই গরু আশিকের মায়ের এমন অভিযোগ তুলে তার মাকে বেধড়ক মারধর করেন আরোফ মৃধা। পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মাকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীদের কাছ যায় কিশোর ছেলে আশিক। মায়ের হয়ে ক্ষমাও চায় সে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে আশিককেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে‌‌ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কাশিনাথপুর এবং পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মারা যায় আশিক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, আশিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে ছয়জনের নামে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন প ট য় হত য

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ করেছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।

শনিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন টাইগার শার্ক মহড়া। এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একসঙ্গে চিকিৎসা প্রশিক্ষণ, টহল, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন, সাঁতার, ডুবসাঁতার এবং ক্লোজ কোয়ার্টারস কমব্যাটসহ বিভিন্ন সমন্বিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত) ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া নিরাপদ, শক্তিশালী ও আরও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারত্বেরও প্রতীক।’

কৌশলগত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টাইগার শার্কে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের বিনিময়, যৌথ পরিকল্পনা সেশন এবং কৃত্রিম অনুশীলন পরিবেশে প্রশিক্ষণ। এসব কার্যক্রম ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কৌশল গঠনে সহায়তা করা।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম যুদ্ধ কমান্ড, যা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম তদারকি করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ