টুপটাপ বৃষ্টি ঝরছে। শহরের ব্যস্ততা যেন একটু থেমেছে আজ। জানালার পাশে বসে রুদ্র হঠাৎ খুঁজে পাওয়া পুরোনো এক চিঠি পড়ছিল। চিঠির কাগজে জল পড়ে ছাপ ধুয়ে গেছে অস্পস্ট কিছু কিছু, ঠিক যেমন সম্পর্কের রং মুছে যায় সময়ের পথ পরিক্রমায়।
চিঠিটা লিখেছিল অনূঢ়া– কয়েক বছর আগে এক বর্ষার সকালে।
‘রুদ্র, তোমার মতোই আমিও বর্ষা ভালোবাসি। জান? বৃষ্টি এলেই তোমার পাশে বসে চা খাওয়ার কথা খুব মনে পড়ে। কিন্তু আমরা এখন আর একসঙ্গে বসে থাকি না কেন?’
তারপর আর কোনো চিঠি আসেনি। একদিন হঠাৎ করেই চলে গিয়েছিল অনূঢ়া। শুধু এটুকু বলে গিয়েছিল– ‘আমাদের ভালোবাসা শুধু স্মৃতি হয়ে থাকুক, বাস্তব না।’
রুদ্র সেই থেকে অপেক্ষা করে বৃষ্টির।
প্রতি বর্ষায় সে চিঠিটা পড়ে, জানালার পাশে বসে থাকে, এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে। মনে হয়, এবার বুঝি অনূঢ়া ফিরে আসবে।
আজও তাই। বৃষ্টি পড়ছে, চিঠি সামনে, চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ঠিক তখনই দরজায় টোকা পড়ল। রুদ্র ধীরে ধীরে দরজা খুলল।
সামনে অনূঢ়া। ভেজা চুল, কাঁপা ঠোঁট, কিন্তু চোখে একই নরম চাহনি।
‘এবার কি একসঙ্গে বসা যাবে?’
রুদ্র হাসল। চুপচাপ পাশে এগিয়ে দিল এক কাপ চা।
বৃষ্টির শব্দের নিচে চাপা পড়ে গেল অতীতের সব না-বলা কথা। v
সুহৃদ, টাঙ্গাইল
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।