ভেলপুরি বিক্রেতার কাছ থেকে মা জেনেছিলেন, ছেলে তাঁর ছয় বলে ছক্কা মেরেছে
Published: 3rd, July 2025 GMT
চার দশক কেটে গেছে। তবু ১৯৮৫ সালের জানুয়ারির এক সন্ধ্যার স্মৃতি এখনো স্পষ্ট লক্ষ্মী শাস্ত্রীর মনে। ছেলের কীর্তি বলে কথা! মায়ের নামের সঙ্গে শাস্ত্রী দেখেই হয়তো আন্দাজ করতে পেরেছেন কার কথা বলা হচ্ছে। কীর্তিটা কী? ছয় বলে ছয় ছক্কা।
টি-টোয়েন্টির যুগে এটার মাহাত্ম্য হয়তো খানিকটা কমেছে। প্রতিনিয়ত না হলেও কালেভদ্রে হয়েই থাকে। তবে রবি শাস্ত্রী যখন ছয় বলে ছয়টি ছক্কা মেরেছেন, তখন ক্রিকেট ইতিহাসে এই কীর্তি গড়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান।
রবি শাস্ত্রী ৬ ছক্কা মেরেছেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। মুম্বাইয়ের হয়ে বরোদার বাঁহাতি স্পিনার তিলক রাজের বলে। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয় বলে ৬ ছক্কা মারা গ্যারি সোবার্স মেরেছিলেন ইংলিশ কাউন্টিতে, নটিংহামশায়ারের হয়ে গ্ল্যামরগনের বাঁহাতি স্পিনার ম্যালকম ন্যাশ।
এখন কেউ কোনো কীর্তি গড়লে মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। তখন তো আর এমন ছিল না। ছেলের ৬ ছক্কা মারার কীর্তি লক্ষ্মী শাস্ত্রী জেনেছিলেন এক ভেলপুরি বিক্রেতার কাছ থেকে।
এত বছর পরও সেই দিনের গল্প বলার সময় আবেগ আর গর্বে কাঁপছিল লক্ষ্মী শাস্ত্রীর কণ্ঠ। বোম্বে জিমখানায় ‘স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব মুম্বাই’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছেলে রবি শাস্ত্রীর হয়ে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে ভাগ করে নিয়েছেন নিজের সেই অমূল্য স্মৃতি। যিনি পুরস্কারটি পেয়েছেন, সেই রবি শাস্ত্রী তখন দ্বিতীয় টেস্টে ধারাভাষ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন এজবাস্টনে। আর মুম্বাইয়ের মঞ্চে তাঁর মা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে ফিরে দেখেছেন ছেলের গৌরবময় অতীত।
আরও পড়ুন৫ রানে নেই ৭ উইকেট, তবু রেকর্ডটা বাংলাদেশের নয়৭ ঘণ্টা আগেতিনি বলেছেন এভাবে, ‘রবির দেওয়া অনেক স্মৃতিই আমাদের কাছে অমূল্য। কিন্তু যেটা সবচেয়ে স্পষ্ট মনে পড়ে, সেটা ছয় ছক্কার সেই ইনিংস। সবচেয়ে মজার কথা, আমি তখন জানতামই না ও খেলছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে! খবরটা প্রথম দেয় আমাদের ভেলপুরি বিক্রেতা। সে নিজেই সেদিন মাঠে ছিল আর সেটা দেখেছে।’
সেই ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন শাস্ত্রী.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ প্রথম প্রেম দিবস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ প্রথম প্রেম দিবস। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়।এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি।
প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন?
মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি।
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
ভালো লাগার মুহূর্তগুলোত মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই সুখ অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না।
আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি