এবার বছরজুড়ে ডেঙ্গু রোগী ছিল। তবে ১৪-১৫ দিন ধরে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির চেয়ে বহির্বিভাগে ও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী আসার হার বেশি।

ল্যাংড়া জ্বর বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা হুইলচেয়ারে করে আসছেন। কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় জ্বরের সঙ্গে সর্দিকাশি ও গলাব্যথা থাকে। তবে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জ্বর থাকলেও সর্দিকাশি থাকে না। রোগীদের গায়ে ব্যথা থাকে। গায়ে ফুসকুড়ি (র‌্যাশ) থাকতে পারে, না–ও থাকতে পারে। ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, চোখের পেছনে, পিঠ-কোমর ও মাংসপেশিতে ব্যথা থাকে। আর চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেহের গিঁটে গিঁটে ব্যথা থাকে। পা ফুলে যায়। গায়ে ফুসকুড়ি থাকে। ব্যথার মাত্রা এত বেশি থাকে যে রোগী হাঁটতে পারেন না। চেম্বারে এমন রোগীদের অন্যের কাঁধে ভর করে বা হুইলচেয়ারে করে আসতে দেখা যায়। এ সময়ে গায়ে ব্যথাসহ জ্বর হলে ডেঙ্গু হয়েছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

মশার কামড় থেকে হয় ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ