আরও একবার!

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির ম্যাচের স্কোরলাইনে নিয়মিত চোখ রাখলে এমন বিস্ময় লাগতে পারে যে কারওরই। লিগে আগের চার ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও জোড়া গোল করেছেন লিওনেল মেসি। এবার তাঁর জোড়া গোলের ভুক্তভোগী ন্যাশভিল। ফোর্ড লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে মেসির টানা পঞ্চম জোড়া গোলের ম্যাচে ইন্টার মায়ামি ম্যাচ জিতেছে ২-১ গোলে।

আজকের আগে মেসি জোড়া গোল করেছিলেন মন্ট্রিয়ল, কলম্বাস, আবার মন্ট্রিয়ল এবং নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলুশনের বিপক্ষে। টানা চার এমএলএসেই কারও জোড়া গোল ছিল না। মেসি নিজের রেকর্ডটাই আজ আরও উচ্চতায় তুলেছেন। তবে ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকার আজকের কীর্তি শুধু জোড়া গোলে নয়, ফ্রি কিকেও।

ম্যাচে মেসির দুটি গোল দুই অর্ধে। এর মধ্যে ৬২তম মিনিটের গোলটি প্রতিপক্ষ গোলকিপারের উপহার। ন্যাশভিল গোলকিপার জো উইলিস এক সতীর্থের ব্যাক পাস থেকে বল পাওয়ার পর তালগোল পাকিয়ে বল তুলে দেন কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা মেসির পায়ে। এমন সুযোগ কি তিনি মিস করেন। সহজেই জড়িয়েছেন জালে।

তবে এর আগে ম্যাচের প্রথমার্ধে ১৭তম মিনিটের গোলটি ছিল দুর্দান্ত। ফাউলের শিকার হয়ে ফ্রি কিক পেয়েছিলেন মেসি। সেটা কাজে লাগিয়েছেন মানবদেয়ালের মাঝ দিয়ে নিচু শটে গোলকিপারের কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে। যেন মেসির সেট-পিস সাফল্যের আরেকটি ‘হাইলাইটস’।

এই গোলের মাধ্যমে ফ্রি কিকে নতুন উচ্চতায় উঠেছেন মেসি। সাবেক বার্সেলোনা তারকা এখন ফ্রি কিক থেকে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলের মালিক। ৬৯ ফ্রি কিক গোল নিয়ে মেসি পেছনে ফেলেছেন ব্রাজিলের মার্কোস আসুনসিওকে (৬৮)। তাঁর সামনে শুধু জুনিনিও (৭২), রবার্তো দিনামাইট (৭৫) ও মার্সেলিনো কারিওকা (৭৮)।

আজকের ম্যাচে মেসির জোড়া গোলের বিপরীতে ন্যাশভিল একটি গোল শোধ করে ৪৯তম মিনিটে, হ্যানি মুখতারের সৌজন্যে। লিগে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থাকা মায়ামি এখন ১৯ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৫ নম্বরে আছে। ৩ ম্যাচ বেশি খেলে ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তিন নম্বরে ন্যাশভিল। শীর্ষে থাকা ফিলাডেলফিয়ার পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৪৩।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি

ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।

এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।

জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।

ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।

এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি