কাশীপুরে ফের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় যুবলীগ সন্ত্রাসী নাজমুল
Published: 22nd, July 2025 GMT
ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন। নাজমুল হোসেন কাশীপুর সম্রাট হল এলাকার বাসিন্দা।
সূত্রমতে, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও চিহ্নিত ভূমিদস্যু আনিসুর রহমান শ্যামলের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত নাজমুল। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে শ্যামলের আর্শিবাদে কাশীপুর ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হন তিনি।
যুবলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই মূলত নাজমুল অনেকটা র্দুর্ধষ হয়ে উঠেন। স্থানীয় এলাকার ঝুট সেক্টর থেকে শুরু করে মাদক এবং ভূমিদস্যুতাসহ সকল কিছুর একক নিয়ন্ত্রণ ছিলো নাজমুলের হাতে। শুধু তাই নয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে স্থানীয় মানুষের সাথে জুলুম নির্যাতন ছিলো তার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নাজমুলের ওস্তাদ ও প্রধান শেল্টারদাতা কাশীপুরের চিহ্নিত ভূমিদস্যু আনিসুর রহমান শ্যামল আত্মগোপনে চলে যায়। তবে তার অস্ত্রেরভান্ডার পুরোটাই গচ্ছিত রেখে যায় র্দুর্ধষ সন্ত্রাসী নাজমুলের কাছে।
তবে নাজমুলও এলাকায় বেশি দিন টিকতে পারেনি। ফলে তিনিও ওস্তাদের মত বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তবে কোন এক রহস্যজনক কারণে কিছুদিন পরই এলাকায় দেখা যায় নাজমুলের। এলাকায় ফিরে তিনি আবারও তার সাম্রাজ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেছে।
বর্তমানে নাজমুল এলাকায় ফের আধিপত্য বিস্তার সহ নানা অপকর্ম করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। তারা বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন এ নাজমুলরা।
যারফলে দেশের পটপরিবর্তনের সাথে সাথে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু পরবর্তিতে তাদের নামে একাধীক মামলা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতারে প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ চোঁখে পড়ে না।
ফলে প্রশাসনের গ্রেফতারের গাফলতি থাকায় ওই আওয়ামী যুবলীগ সন্ত্রাসীরা ধীরে ধীরে এলাকায় ফিরে আসছে। শুধু তাই নয়, এলাকায় ফিরে তারা পূর্বের মত আচরণ করছে। বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে ফিরে আবারও আধিপত্য বিস্তারসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের শেল্টারে এলাকায় ফিরে এসেছে সন্ত্রাসী যুবলীগ সন্ত্রাসী নাজমুল। বর্তমানে তাদের ছত্রছায়ায় থেকেই তিনি নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।
তবে এসমস্ত সন্ত্রাসীদের কোনভাবেই আশ্রয় প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য স্থানীয় ওই রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য ফতুল্লা থানা পুলিশের প্রতিও বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সন ত র স য বল গ ন র য়ণগঞ জ এল ক য় ফ র য বল গ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
মতলবের দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলদারির অভিযোগ, দল থেকে বহিষ্কার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিএনপির দুই নেতাকে দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁদাবাজি, দখলদারি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মান্নান লস্কর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া। এর মধ্যে মতলব উত্তরের আবদুল মান্নান লস্করকে চাঁদাবাজির মামলায় গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবদুল মান্নান লস্কর ও আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়াকে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই একই অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইমাম হোসেন গাজীকেও দলের সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদের (মানিক) মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জেনেছেন। তবে এ ব্যাপারে চিঠি এখনো পাননি। যেকোনো বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটি অন্যান্য নেতার জন্যও একটি বার্তা ও শিক্ষা।