গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ বন্ধ করে রাখার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস । তিনি এটিকে ‘বিশ্ব বিবেককে চ্যালেঞ্জ করার নৈতিক সংকট’ বলে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিশ্ব সম্মেলনে ভিডিও লিংকে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেছেন।

গুতেরেস বলেছেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই যে মাত্রার উদাসীনতা এবং নিষ্ক্রিয়তা, সহানুভূতির অভাব, সত্যের অভাব, মানবতার অভাব দেখাচ্ছেন তা আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না। এটি কেবল একটি মানবিক সংকট নয়। এটি একটি নৈতিক সংকট যা বিশ্ব বিবেককে চ্যালেঞ্জ করে। আমরা প্রতিটি সুযোগে কথা বলতে থাকব।”

এদিকে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিক গ্রুপ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলের ত্রাণ অবরোধ গাজাকে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ এবং প্রাণহানির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সংস্থাটি অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকার এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরায়েলকে অবিলম্বে তার অবরোধ শেষ করতে হবে। প্রতিটি ট্রাক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ক্যালোরি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গেট খোলা কেবল সূচনা: শুধুমাত্র একটি যুদ্ধবিরতি গাজায় মানবিক বিপর্যয় কমাতে পারে।”

গত মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজার খাদ্য পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হাসপাতালে অপুষ্টির শিকার হাড্ডি-চর্মস্বার শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে উপত্যকায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ