পুতিনকে এবার ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
Published: 30th, July 2025 GMT
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি না হলে রাশিয়া এবং দেশটির সঙ্গে ব্যবসায়িক সর্ম্পক রাখা দেশের ওপর উচ্চ হারের শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। খবর সিবিএস নিউজের।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্কটল্যান্ড সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি স্থাপনের জন্য তার পূর্বঘোষিত ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে আনবেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সংশোধিত সময়সীমা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে এখন থেকে ১০ দিনের সময় আছে।”
আরো পড়ুন:
পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প
পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠক হতে চলেছে: ট্রাম্প
ট্রাম্প আরো বলেন, “তারপর আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করবো। তবে আমি জানি না এটি রাশিয়ার ওপর প্রভাব ফেলবে কিনা, কারণ পুতিন স্পষ্টতই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান।”
ট্রাম্প যোগ করেন, “তবে আমরা শুল্ক আরোপসহ আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এটি তাদের (রাশিয়ার) ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বা নাও পারে, তবে এটি করতে হবে।”
একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে। জুলাইয়ের শুরুতে ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয়, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক রাখা দেশগুলোর পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু এরপরও রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি প্রশ্ন তু্লেছেন, রুশ নেতা সত্যিই যুদ্ধ বন্ধ করতে চান কিনা।। ট্রাম্পের মতে, তিনি ভেবেছিলেন রুশ নেতার সঙ্গে তার ভালো একটি ফোনালাপ হয়েছে, কিন্তু পরেরদিনই জানতে পারেন যে রাশিয়া আরো ইউক্রেনীয়কে হত্যা করছে।
এ ধরনের ঘটনা একাধিকবার ঘটায় জুলাইয়ের শুরুতে পুতিনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে আমি সবসময়ই মনে করি আমাদের সুন্দর কথোপকথোন হয়েছে। কিন্তু তারপরই কিয়েভ বা অন্য কোনো শহরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। আর আমি বলি, এটি অদ্ভুত। তিন বা চারবার এটি হওয়ায় নতুন করে আলোচনার অর্থ হয় না।"
সোমবার ট্রাম্প জানান, ইউক্রেনে মস্কোর অব্যাহত বোমা হামলার কারণে তিনি পুতিনের প্রতি ‘খুবই হতাশ’। এসময় তিনি রাশিয়াকে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে ১০ বা ১২ দিনে আনার কথা জানান। মঙ্গলবার ১০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “আর অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই। আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।”
এদিকে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে দেওয়া সময়সীমা কমিয়ে আনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “এটি সঠিক সময়ে এসেছে।” তিনি যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্পষ্ট অবস্থান ও দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ য ক তর ষ ট র ইউক র ন শ ল ক আর প য দ ধ বন ধ ১০ দ ন র ইউক র ন র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।