রূপগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা
Published: 1st, September 2025 GMT
রূপগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন ও মানসিক চাপে পড়ে আলমগীর মিয়া (২৬) নামের এক ব্যবসায়ী কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার সকালে প্বূাচল ১৩নং সেক্টর বিরুলিয়া ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই খোরশিদ মিয়া বাদী হয়ে স্ত্রী শাকিলা, শ্যালক শাকিল ও সাকিব বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পাচ বছর আগে প্রেমের সূত্র ধরে আলমগীর মিয়া বিয়ে করেন শাকিলাকে। বিয়ের পর থেকে শাকিলা ভাইদের সহায়তায় আলমগীরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও শাকিলার পরক্রীয়ার বিভিন্ন ভিডিও ভাইরাল হলে দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে।
গত ৩১ আগস্ট সকালে রূপগঞ্জের নীলা মার্কেটসংলগ্ন শ্বশুরবাড়িতে আলমগীরের সঙ্গে শ্যালক শাকিল ও সাকিবের ঝগড়া হয়। এসময় তারা আলমগীরের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে।
পরে সন্ধ্যায় শ্যালক সাকিব ফোন করে জানায়, আলমগীর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে আশিয়ান মেডিকেল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ভাটারা থানা পুলিশ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের ভাই খোরশিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী ও শ্যালকরা আমার ভাইকে নির্যাতন ও প্ররোচনার মাধ্যমে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫