হাত না মেলানোর ঘটনায় ম্যাচ রেফারিকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি পাকিস্তানের
Published: 15th, September 2025 GMT
দুবাইয়ে গতকাল এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভারতের খেলোয়াড়দের হাত না মেলানো নিয়ে বিতর্কে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। সর্বশেষ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এশিয়া কাপ থেকে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে ‘অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার’ দাবি জানিয়েছেন। নাকভির অভিযোগ, পাইক্রফটই নাকি ম্যাচের আগে দুই দলের অধিনায়ককে টসের সময় হাত মেলাতে বারণ করেছিলেন! নকভি শুধু পিসিবি চেয়ারম্যানই নন, তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বর্তমান সভাপতিও।
আরও পড়ুনহাত না মেলানোয় ভারতকে কি শাস্তি দেবে আইসিসি৩ ঘণ্টা আগেআজ এক্সে করা এক টুইটে নাকভি জানান, ‘আইসিসির আচরণবিধি আর এমসিসির “স্পিরিট অব ক্রিকেট” আইনের লঙ্ঘন হয়েছে ম্যাচ রেফারির পক্ষ থেকে। এ নিয়ে আইসিসির কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছে পিসিবি। আমরা চাই, এশিয়া কাপ থেকে তাঁকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হোক।’
সত্যি সত্যি এমন কিছু ঘটেছিল কি না, তা জানতে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত তারা কোনো উত্তর পায়নি। যদিও এশিয়া কাপ এসিসির টুর্নামেন্ট, আইসিসির কোনো সাংগঠনিক ভূমিকা নেই। তবে ম্যাচ রেফারি নিয়োগ দেয় আইসিসিই। কোনো দায়িত্ব থেকে কাউকে সরিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে হলে আইসিসিকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে।
ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইস স র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক