Samakal:
2025-06-16@02:49:21 GMT

বিপত্তির কারণ ভুয়া ফোনকল

Published: 12th, January 2025 GMT

বিপত্তির কারণ ভুয়া ফোনকল

যদি নিজের স্মার্টফোনে এখনও ‘ট্রু কলার’ না থাকে, তাহলে নিরাপত্তার প্রয়োজনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে।
নিজের ব্যবহৃত ফোনে ভুয়া ফোনকল বা মেসেজ প্রবেশ করলে চিহ্নিত নম্বরটি দ্রুত ব্লক করার সঙ্গে রিপোর্ট করতে হবে। নম্বরটি শুধু ব্লক করে দিলে নিজের কাছে হয়তো ওই নম্বর থেকে সরাসরি ফোন আসা বন্ধ হবে, কিন্তু চারপাশের বহু মানুষের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থেকে যায়।
আজকাল কমবেশি সবার ফোনেই ‘ট্রু কলার’ ইনস্টল থাকে। যাতে নম্বরটি কোথা থেকে আসছে, তা বুঝতে খুব বেশি অসুবিধা না হয়। যদি ‘ট্রু কলার’ না থাকে, তাহলে গুগল প্লে স্টোর থেকে তা ইনস্টল করে নেওয়াই শ্রেয়।
শনাক্ত ভুয়া ফোনকে ট্রু কলারের মাধ্যমে রিপোর্ট করার উদ্যোগ নিতে হবে। নম্বরটি তা হলে ‘স্ক্যাম কল’ হিসেবেই সবার কাছে চিহ্নিত হবে। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজ থেকেও ফোন নম্বরটি ভুয়া কিনা, তা যথাযথভাবে রিপোর্ট করা যায়।
প্রতারকের কাছ থেকে আসা কোনো ফোনকল যদি তুলে ফেলেন বা কোনো মেসেজের লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন, তাহলে সবার আগে নিজের ব্যাংক ও অন্য সব অ্যাকাউন্টে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা, তা দ্রুত যাচাই করে নিন। প্রতারক চক্র ফোনকল বা মেসেজের মাধ্যমে অনেক সময় ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে দেয়। তাই নিজের ফোনে কেউ অযাচিত নজরদারি করছে কিনা বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা ব্যবহৃত মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিসে (এমএফএস) কোনো সন্দেহজনক কিছু ঘটছে কিনা, তা আগে বিশেষভাবে যাচাই করে নিতে হবে। সন্দেহ বেশি হলে বা প্রয়োজনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।
যদি অজানা নম্বর থেকে ক্রমাগত ফোনকল বা মেসেজ দৃশ্যমান হয় বা বিশেষ উদ্দেশ্যের কথা বলে কোনো ওটিপি প্রেরণ করা হয়, তা হলে আগে ফোনের লকস্ক্রিন ও বাকি সবকটি অ্যাপ পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলে নিতে হবে। জিমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে এমন ওটিপি বা সন্দেহজনক লিঙ্ক আসতে পারে। তাই নিরাপত্তার প্রয়োজনে নিরাপদ ও পরীক্ষিত কোনো অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ফোন স্ক্যান করে নিতে হবে। আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত এমন সবকটি অ্যাপে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ